এদিন শিলিগুড়ি থেকে তিনি বলেন, “কারোর মৃত্যু নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করা উচিৎ নয়। তবুও ভানু বাগ চলে যাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। অমূল্য সম্পদ চলে গেলেন। তৃণমূলের বড় ক্ষতি হল। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করবেন তা ভবিষ্যৎ বলবে। রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উচিত শোকবার্তা প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া।”
শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে এমনটাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। কয়লা পাচারের টাকা বিদেশে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “ভাইপোর কয়লা পাচারের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। লন্ডনে শ্যালিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও টাকা জমা পড়ে। ডিয়ার লটারি থেকে সেবি-কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁরা তৃণমূলকে ৩০০ কোটি টাকা ইলেক্টরাল বন্ড দিয়েছে। আরও একটি কোম্পানি ৪২ কোটি টাকা দিয়েছে।”
পাঁচতারা হোটেলের আদলে পার্টি অফিস গড়ে তোলা নিয়ে শুভেন্দু এদিন বলেন, “কলকাতাতে এরকম ওরা কটা পার্টি অফিস গড়ে তুলেছে আপনারা জানেন? আমার কাছে সব তথ্য আছে। বিনা তথ্যে আমি কথা বলিনা।” এদিন বাগডোগরায় নেমে সেখান থেকে কালিয়াগঞ্জে রওনা দেন বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কটকের হাসপাতালে এদিন সকালে মৃত্যু হয় ভানু বাগের। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাঁর বয়ান নেওয়া যায়নি, খবর CID সূত্রে। বিস্ফোরণের পর এলাকা থেকে পালিয়েছিলেন ভানু।
কটকের হাসপাতালে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু ওরফে কৃষ্ণপদ বাগ। ভানুর বেআইনি বাজি কারখানায় বোমা তৈরি হত বলে অভিযোগ। ১৬ মে ভানুর বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন ভানু বাগ, শরীরের ৮০% পুড়ে গিয়েছিল।
বিস্ফোরণের পর বাইকে চেপে এলাকা থেকে পালান ভানু বাগ। ছেলে ও ভাইপোর সঙ্গে বাইকে চেপে পালান তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল যে, এই ভানু বাগের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের যোগসাজশ রয়েছে। আর এই বিস্ফোরণের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদেরও যোগাযোগ আছে, এই অভিযোগও করা হয়।
এবার সোজাসুজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করে মন্তব্য করে ওই অভিযোগগুলিতেই শিলমোহর দিলেন শুভেন্দু।