“কোর্টে গিয়ে অনেক চেষ্টা করেছেন, আটকাতে পারেননি। ফাঁসির দড়ি পড়ার দরকার নেই, তদন্তে সহযোগিতা করুক৷” শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এসে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের চিঠি কেসে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালত থেকে কোনও রক্ষাকবচ পাননি। শনিবার বেলা ১১ টায় নিজাম প্যালেসে হাজিরার ব্যাপারে এদিন দুপুরেই নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। এই প্রসঙ্গে কালিয়াগঞ্জে এসে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী৷অন্যদিকে ভানু বাগের মৃত্যুর প্রসঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা৷ তিনি বলেন, ভানু বাগের মৃত্যুতে পরিবারের যা ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ উল্লেখ্য ক’দিন আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরা। মৃত্যু হয় ৯ জনের৷ পরে কারখানা মালিক সহ এই ঘটনায় জখম আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। Suvendu Adhikari Egra Blast : ‘বুড়িমা বন্ধ, শুধু পিসিমার বোম পাওয়া যায়’, এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে তোপ শুভেন্দুর
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এলাকার বাজি ব্যারন বলে খ্যাত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগ এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়৷ জখম অবস্থায় প্রায় ২৫০ কিমি দূরে পালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি৷ দুদিন পরেই ধরা পড়ে সি আই ডির হাতে৷ কিন্তু, ঘটনার সময় শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যাওয়ায় সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়৷
এদিন কালিয়াগঞ্জে এসে নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনাতেও পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ ঘটনার প্রায় একমাস পর উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে মৃত নাবালিকা ও গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ শুক্রবার দুপুরে বিরোধী দলনেতা প্রথমে কুনোরে অবস্থিত ভারত সেবাশ্রমে যান। গিয়ে ওখানকার স্বামীজিদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত নাবালিকার বাড়িতে যান৷ কথা বলেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ শোনেন, তাদের কাছ থেকে।
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোই বাড়ি এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার হয় এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃতদেহ। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় দফায় দফায় উত্তাল হয় কালিয়াগঞ্জ।