মাধ্যমিকে সপ্তম হয়েছে শ্রীরামপুর মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমের ছাত্র জিষ্ণু ঘোষ। বাড়ি কোন্নগর নবগ্রামে। জিষ্ণু ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। জিষ্ণু জানায়, তার পড়াশোনার কোনও বাধাধরা সময় ছিল না। ফুটবল প্রেমী জিষ্ণু মেসির ভক্ত। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা করতে পছন্দ করে সে। বাবা প্রণব ঘোষ জিষ্ণুর বিদ্যালয় শ্রীরামপুর মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমেরই প্রধান শিক্ষক। মা লিপিকা ঘোষ গৃহবধূ।
এছাড়াও নবম হয়েছে মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম থেকে শুভ্র সাধুখাঁ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। বাড়ি হরিপাল নালিকুলে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় শুভ্র। বাবা সুব্রত সাধুখাঁ ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম মেরামতির কাজ করেন। মা শিপ্রা সাধুখাঁ গৃহবধূ। ছবি আঁকা এবং খেলাধূলা পছন্দ করে শুভ্র। তার সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছে স্কুলের শিক্ষক ও বাবা-মাকে।
দশম হয়েছে মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমের ছাত্র অয়নদ্বীপ সেনগুপ্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। বাবা প্রসেনজিৎ সেনগুপ্ত পেশায় সরকারি কর্মচারী। মা শ্রাবনী বসু সেনগুপ্ত পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। বাড়ি কোন্নগর সাধুরগলি এলাকায়। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যারাটে করতে পছন্দ করে অয়নদ্বীপ।
উল্লেখ্য, হুগলি জেলা থেকে প্রথম দশের মধ্যে রয়েছে পাঁচ জন। তার মধ্যে তিনজনেই মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম থেকে। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ১৬ টি জেলা থেকে মোট ১১৮ জন প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছে। এ বছর পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ, যার মধ্যে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ১৩.৬৭ শতাংশ পড়ুয়া। একাধিক জেলা থেকে প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। রয়েছে বাঁকুড়া, নদিয়া, মেদিনীপুর জেলা।
তবে এ বছর হুগলি জেলা থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম ছিল। রাজ্যের পাশাপাশি হুগলি জেলাতেও কমে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। হুগলি জেলাতে গতবারের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী প্রায় অর্ধেক সংখ্যায় হয়। হুগলিতে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ২৯৮৫৯ জন। তার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ছিল ১৩০৮৫, ছাত্রী সংখ্যা ১৬৭৭৪ জন। যেখানে গত বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬০৪২৮ জন।