এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যেদিন থেকে হাইকোর্টের অর্ডার এসেছিল আমি বলে দিয়েছিলাম, যখন ডাকবে আমি যাব। গতকাল দুপুর আড়াইটে নাগাদ আমার বাড়িতে এসে চিঠি দিয়ে যায়। এরপর আজ সকাল ১১টায় আমি নির্ধারিত সময় নিজাম প্যালেসে এসে ঢুকেছি। অন্তত ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া উচিত ছিল। ৯ ঘণ্টা ৪০ জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। আমি পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আমি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। কিন্তু, যারা ডেকেছিলেন তাদেরও সময় নষ্ট, আমারও সময় নষ্ট। আমার বিরুদ্ধে কিছু থাকলে, আবারও বলছি ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে চলুন। কারণ এই ডাকাডাকি নেট রেজাল্ট জিরো।”
তিনি আরও বলেন, “বাঁকুড়া, সোনামুখি, ইন্দাসের কর্মসূচি মাঝ পথে ছেড়ে রেখে এসেছি। কিন্তু, আমি পরশু আবার ফিরব নবজোয়ার কর্মসূচিতে। CBI-ED লাগিয়ে আমাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আরও দ্বিগুন শক্তি নিয়ে ঝাঁপাব। যদি আবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকে আমি চলে আসব। কিন্তু, মানুষের পাশে থাকা, মানুষের জন্য কাজ করা থেকে আমায় আটকাতে পারবে না।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই জনসংযোগ যাত্রা চলাকালীন আমার শরীর খারাপ করে গিয়েছিল। আমার জ্বর এসেছিল, আমার হাত কেটে গিয়েছিল। তাও আমি ফিরিনি। আমায় বাবা-মা, দিদি সকলেই বলেছিলেন এই যাত্রা কিছুদিনের জন্য থামিয়ে কলকাতায় ফিরে আসতে। কিন্তু, আমি আসিনি। দিদিকে বলেছি ৬০ দিনের যাত্রা শেষ না করে ফিরব না। কিন্তু, এই CBI তলবের জন্য যাত্রা মাঝপথে থামিয়ে কাল রাতে আমায় কলকাতায় ফিরতে হল।”
প্রসঙ্গত, এদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেককে। তিনি জানান, এই জিজ্ঞাসাবাদের নেট রেজাল্ট জিরো। তাঁকে যা যা প্রশ্ন করা হয়েছিল সব প্রশ্নের তিনি উত্তর দিয়েছেন বলেও জানান তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। আবার ডাকতে তিনি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলেও মন্তব্য অভিষেকের।