পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়েছেন এলাকার মানুষজন৷ মৃতের নাম আইজুদ্দিন মোল্লা (৪০)৷ তিনি মাটির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ প্রাথমিক অনুমান পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন করা হয়েছে৷
পরিবারের দাবি, এলাকার একটি চায়ের দোকানে ক্যারাম খেলছিলেন আইজুদ্দিন৷ সেইসময় দুটি বাইকে করে ভদু, পিন্টু ও সুকুর এবং আরও একজন আসে৷ এসেই বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ৷ সেই ভয়ে অনেকেই পালিয়ে যান৷
তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে আইজুদ্দিনের ওপর হামলা চালানো হয়৷ তারপর গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এরপর অভিযুক্তরা অন্য একটি রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়৷ যাওয়ার সময় মৃতের বোন তাদের দেখে চিনতে পারেন বলে জানা গিয়েছে৷
যদিও ঘটনাস্থলে তারা মুখে কাপড় বেঁধে এসেছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গিয়েছে৷ এই ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে সামালি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়৷ সেখানে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা আইজুদ্দিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
এই ঘটনা জানাজানি হতে হাসপাতাল চত্বরেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর পরিবারের লোকজন৷ এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ তবে পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করা হয়েছে৷
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে৷ এক প্রত্যক্ষদর্শী এই বিষয়ে জানান, “ওই চায়ের দোকানে রোজ ক্যারাম খেলা হয়। অনেক লোকই আসেন, চা খান, সঙ্গে টুকটাক ক্যারামও খেলে যান। আইজুদ্দিনও প্রায় দিনই সন্ধ্যে বেলায় এখানে আড্ডা দিতে আসতেন ও ক্যারাম খেলতেন। মনে হয় আততায়ীরা এই বিষয়টি লক্ষ্য করেছিল। তাই এখানেই হামলা চালায়। প্রথমে বাইকে করে এসেই ওরা বোমা ছুঁড়ে মারে। তখন ভয়ে সবাই যখন পালিয়ে যায়, সেই সময়েই আইজুদ্দিনকে ধরে ওরা হামলা চালায়। এই ঘটনার পর থেকে আমরা রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে আছি।”