সাংবাদিকদের মুখোমুখি রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কালারফুল বয়’। তিনি বলেন, ‘আমাকে তৃণমূল ভোটে জেতায়নি। আমাকে ভোটে জিতিয়েছেন কামারহাটির সাধারণ মানুষ। তৃণমূল শুধু আমাকে প্রতীক দিয়েছে। শেষ প্রচার করে আমাকে ভোটে জিতিয়েছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে দলে টিকিট দিয়েছেন। মমতা যদি আমাকে জুতো দিয়েও মারেন আমি মেনে নেব। কিন্তু অন্য কোনও চাকর-বাকরের কথা শুনব না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী।’
সারদাকাণ্ডে গ্রেফতারির মুখে পড়ে হয় তৎকালীন মন্ত্রী মদন মিত্রকে। দীর্ঘ ২৩ মাস তিনি জেলবন্দি ছিলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, খারাপ সময় পাশে থাকার জন্য দলনেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। মদন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে আমি বেঁচে থাকতাম না। আমরা পরিবার বেঁচে থাকত না। ২৩ মাস যখন জেলবন্দি ছিলাম উনি ও দল আমার পরিবারের পাশে ছিল। মমতা আমাকে মন্ত্রী করেছেন। আমি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পরও দেড় বছর আমার পদত্যাপত্র গৃহীত হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরটা একদিনে গৃহীত হয়েছিল।’
মদন মিত্র কী দল ছেড়ে দেবেন? এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন মদন। বাংলা তথা দেশের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তৃণমূল সমার্থক। এদিন সে নিয়েও কার্যত প্রশ্ন তুলেছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা। মদন বলেন, ‘দল ছাড়তে যাব কেন? কোনও প্রশ্নই আসে না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল নাকি? এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল নাকি? এই দলটা আমাদের সবার, মা-মাটি-মানুষের দল। এটা কোনও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়। কেন আমি দল ছাড়তে যাব? দলে আমার অবদানও কিছু কম না।’
নিজের পরিবার নিয়েও এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন মদন। তিনি বলেন, ‘আমি ২৩ মাস জেল খেটেছি। যত রাগ আছে আমার পরিবারের উপর কোনও প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবেন না। আমার উপর প্রতিশোধ নিন কোনও অসুবিধা নেই। আমি আপনার কেন্দ্রেরই ভোটার। দল ও নেত্রীকে পরিবারের পাশে থাকার অনুরোধ করছি।’