এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার আগে, স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় কার্তিকের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪০৮। মাধ্যমিকে ভালো ফল করবে, এমটাই আশা ছিল কার্তিকের পরিবারের। এমনকী বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির হওয়ার প্রস্তুতিও প্রায় সাড়া হয়েছিল।
শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর কার্তিক দেখে ওয়েবসাইটে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফল দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল ছাত্রটি। বাড়িতে চলছিল দেদার মিষ্টিমুখ। কার্তিকের বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। ছেলের সাফল্য তিনি আনন্দ পেয়েছিলেন। মা আশায় বুক বেঁধেছিলেন ছেলেকে বিজ্ঞান নিয়ে ভালো স্কুলে ভর্তি করার।
কিন্তু সে আনন্দ যে ক্ষণস্থায়ী তা বুঝে উঠতে পারেনি দাস পরিবার। স্কুলে গিয়ে মার্কশিট হাতে পেতেই মাথায় বাজ পড়ে কার্তিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। সে দেখে মাধ্যমিক পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরের সাথে মার্কশিটের নম্বরে আকাশ-পাতাল ফারাক। ৪৯০ নম্বর কমে হয়েছে ১৯০। বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে ছাত্রটি। এখন তাঁর ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবারও।
জীবনের প্রথম বড় পরিক্ষা দিয়ে চরম অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিন কাটছে কার্তিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। পর্ষদের কাছে খাতা রিভিউ করার পরিকল্পনা করছে কার্তিকের পরিবার। এ প্রসঙ্গে কার্তিক বলেন, ‘আমি টেস্ট পরীক্ষায় স্কুলে সপ্তম হয়েছিলাম। ৪০৮ নম্বর পেয়েছিলাম। ফল বেরনোর পর অনলাইনে দেখাল ৪৯০ পেয়েছি। স্কুল থেকে মার্কশিট পাওয়ার পর দেখি ১৯০ হয়েছে। এখন খাতা রিভিউ দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। আমার আশা ভেঙে গিয়েছে। বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল।’