এখন ক্যামেরা দেখলেই মুখ ফেরাচ্ছেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সেই দুই অভিভাবক। তাঁদের কথায়, মুহূর্তের এক মন্তব্যের জন্য প্রতিনিয়ত ট্রোল হতে হচ্ছে তাঁদের। এদিকে, মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ফের ভাইরাল তাঁরা। “দিদি আছে সবাই পাস” , এই মন্তব্য ধরে দেদার মিম, পোস্ট শেয়ার হচ্ছে।
অবশেষে ওই দুই অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া গেল। যদিও ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তাঁরা। তাঁদের কথায়, অতীতের ভাইরাল ভিডিয়োর জন্য নানা ভাবে অপদস্ত হতে হয়েছে তাঁদের। পরিবারের সদস্যদেরও অনেকের ‘মুখ ঝামটাও’ সহ্য করতে হয়েছে। তাই সন্তানদের কথা মাথায় রেখে নতুন করে সংবাদ মাধ্যমে তাঁরা প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি নন।
উল্লেখ্য, ইতিহাস ও অংক পরীক্ষা দিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছিল বহু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সেই সময় পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে রীতিমতো আবির খেলায় মেতেছিলেন কিছু ছাত্রী এবং অভিভাবকরা। সেখানে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দুই অভিভাবকদের বলতে শোনা যায়, “আমাদের মেয়েদের ফার্স্টডিভিশন পেতে হবে এমনটা আশা করি না। পাশ করলেই হবে এবং মেয়েরা পাশ করবে। দিদি যখন আছেন, তখন সবাই পাশ।” দত্তপুকুর নিবাধুই বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিভাবক ছিলেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হতেই দুই বাড়িতেই বইছে খুশির হাওয়া। পাশ করেছে ওই ভাইরাল হওয়া দুই অভিভাবকদের সন্তানরা। ওই দুই ভাইরাল অভিভাবকের নাম পিংকি চক্রবর্তী এবং কাকলি মণ্ডল। তাঁদের সন্তান মাহি চক্রবর্তী এবং অনামিকা মণ্ডল চলতি বছর মাধ্যমিক দিয়েছিল।
পাশ করেছে দু’জনেই। দুই অভিভাবকদের বাড়ি দত্তপুকুরের মিতালী সংঘ এবং শ্রীকৃষ্ণনগর এলাকায়। তাদের মধ্যে অনামিকা মণ্ডল পেয়েছে ৩৯০ এবং মাহি চক্রবর্তী পেয়েছে ৩১০। শুধু তাই নয়, ইংরেজিতে লেটার পেয়েছে অনামিকা।
ভবিষ্যতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চাই সে। অনামিকার বাবা কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। মেয়ের সাফল্যে খুশি তিনি। কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিষদীয় দলনেতা অমল কুমার বিষ্ণু বলেন, “সমস্ত কৃতী ছাত্রছাত্রীদের আন্তরিক অভিনন্দন। দিদি আছে সবাই পাশ বিষয়টি তা নয়। যারা ভালো পরীক্ষা দিয়েছে তারা পাশ করেছে। খাতা তো আর দিদি দেখেননি। সকলেই পাশ করবে এটাই কাম্য।”