এদিনের টুইটে মমতা লেখেন, ‘২০১১ সালের এই বিশেষ দিনে ৩৪ বছর দানবিক শাসনকে বদলে দিয়ে মা মাটি মানুষের সরকার গঠনের জন্য আমরা শপথ নিয়েছিলাম। জনগণের প্রতি আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সম্পূর্ণভাবে নিজেদের উৎসর্গ করেছি। কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকারের এজেন্সি রাজ আমাদের কাজ অনেকটাই কঠিন করেছে। কিন্তু দেশের লাখ লাখ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। ২০ মে দীর্ঘজীবী হোক।’
মমতার এই টুইট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় সিবিআই তলব পেয়ে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রিত্বের ১২ বছর কাটিয়ে, সেদিনই কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সি রাজের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা।
বিজেপি নেতা সজল ঘোষ এই নিয়ে বলেন, ‘মানুষ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা এনেছিলেন এটা সত্যি। রাজভবন থেকে হেঁটে মহাকরণে এসেছিলেন মমতা। ঠিক ১২ বছর পর আজকের দিনে কালো গাড়িতে চেপে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন চুরির বিষয়ে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন। এটাই পরিবর্তন!’
আদালতের রায়ের পর শুক্রবার হাজিরা দিতে বলে অভিষেকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। সেসময় জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে বাঁকুড়াতে ছিলেন অভিষেক। নোটিশের খবর পেয়ে ‘নবজোয়ার’ যাত্রার কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পাত্রসায়রে জনসভা করার কথা থাকলেও কলকাতা ফেরার কারণে সেখানে থাকতে পারেননি অভিষেক।
সন্ধেবেলা অভিষেকের হয়ে আসরে নামে খোদ মমতা। কালীঘাটের বাড়ি থেকে অভিষেকের সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার বক্তব্যের ছত্রছত্রে ছিল বিজেপির প্রতি তীব্র কটাক্ষ। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়েও সরব হন মমতা।
শুক্রবার মমতা বলেন, ‘নবজোয়ার এখন জনপ্লাবনে পরিণত হয়েছে। তা বন্ধ করার জন্যই অভিষেককে নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। অভিষেককে আমি কয়েকদিন সময় নিতে বলেছিলাম। কিন্তু ও বলেছে শনিবারই হাজিরা দেবে। তাই ওঁর মিটিংটা আমি করে দিলাম। অভিষেককে যদি আটকানো হয়, তবে নবজোয়ারে আমি যাব। হিম্মত থাকলে আমাকে আটকে দেখাক।’