স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মথুরাপুর থানার কাটানদিঘি এলাকা থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জাহানারা বিবি নামে ওই মহিলাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রফিকুল গাজী নামে ওই মহিলার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীনতা ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে মা এর সঙ্গে বচসা শুরু হলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের মাকে খুন করে ওই যুবক। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন জাহানারা বিবি।
ঘটনা জানাজানি হতেই ছুটে আসেন স্থানীয় নাসিডনারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মথুরাপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ জাহানারা বিবিকে উদ্ধার করে মথুরাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানায়। অন্যদিকে ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে রফিকুল গাজীকে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, দেহ ময়না তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মথুরাপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ছেলে রফিকুল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় পরিবারের বাকি সদস্যের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছে, “ওর মা কালকে সেই সময় রুটি বানাচ্ছিল। ছেলে ভাত খাবে না বলে ওর জন্যেই রুটি বানাচ্ছিল। রুটি বানাতে দেরি হয়ে যাওয়ায় ওর মাকে ছেলেটা মারে। রান্নাঘরের বাইরে নিয়ে এসে মারধর করার পর ওর মা অচৈতন্য হয়ে যায়। পরে জানা যায়, ওর মা মারা হয়েছে।” ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, রফিকুল নামে ওই যুবক অনেক ছোটবেলা থেকেই কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। অনেকদিন ধরেই ওর চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। কিন্তু ছেলেটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। দুদিন আগেই রফিকুলকে পার্ক সার্কাস হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করে আনা হয়েছিল বলে জানায় পরিবারের সদস্যরা।