ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আক্রান্ত ছাত্রের নাম বিশাল মণ্ডল। ওই যুবকের বাড়ি উত্তরপাড়ায় বলে জানা গিয়েছে। বিশাল রাজা প্যারী মোহন কলেজের ছাত্র। জানা গিয়েছে, ওই কলেজেরই দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্রীকে গতকাল ইভটিজিং করছিল কয়েকজন যুবক। এরই প্রতিবাদ করেছিল বিশাল।
গত সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় তার ওপর চড়াও হয় ওই যুবকেরা। বাঁশ, রড এবং ছুরি দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় বিশালকে। আশেপাশের লোকজন দেখলেও সাহায্যের জন্য কেউ হাত বাড়ায়নি বলে অভিযোগ। বিষয়টি বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে জানায় ওই যুবক।
এরপর যুবকের পরিবারের তরফে বালি থানায় যোগাযোগ করা হয়। অভিযোগ, ঘটনার পর বালি থানায় অভিযোগ জানালেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি পুলিশ। এখনও কোনও দুষ্কৃতী ধরা পড়েনি। আতংকের মধ্যে রয়েছে ওই ছাত্র এবং দুই ছাত্রীর পরিবার।
এক ছাত্রীর বাবা প্রিয়ব্রত নস্কর বলেন, “যা ঘটনা ঘটল এরপর মেয়েকে কলেজে পাঠাতেই ভয় লাগছে।” ওই ছাত্রীরা জানায় ট্রেন থেকে নামার পর থেকেই তাদের উত্যক্ত করা হচ্ছিল। কলেজের সামনেও তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বলছিল অভিযুক্ত যুবকরা। ফেরার সময় ওই দুই যুবক দলবল নিয়ে হামলা চালায়। প্রতিবাদী যুবককে মারধর করে। মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
আক্রান্ত ছাত্র বিশাল মণ্ডল জানায়, তাঁকে মারধর করে বালি হল্ট স্টেশনের ব্রিজ থেকে নীচে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। রুখে না দাঁড়ালে আরও বিপদ হতো। বালি থানায় প্রথমে অভিযোগ জানালেও পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। জিআরপি অধীনে এই ঘটনা বলা হয়। এরপর বেলুড় জিআরপিতে অভিযোগ করা হয়। ছবি দেওয়া হয় অভিযুক্তদের। তবে এখনও অধরা অভিযুক্তরা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। কিছুদিন আগেই বহরমপুরে নিজের বোনকে ইভটিজিং করায় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর দাদাকে। বহরমপুরের রাধারঘাট ছোটো বসন্ততলা এলাকায় দীপক মিশ্র নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।