স্থানীয় দীর্ঘ বারো বছর পর শাসনের মাটিতে লাল ঝান্ডা উড়েছিল গত ২৮ শে এপ্রিল। পুরনো পার্টি অফিস আবার রংচং করে পাটিকর্মীরা বসতে শুরু করেছিল পার্টি অফিসে। দুবার তৃণমূল থেকে সিপিএমে যোগদানও কর্মসূচিও অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার তৃণমূলের দু’জন বুথ সভাপতি সহ ২০০ তৃণমূল কর্মী যোগদান করেছিল সিপিএমে।
তারপরেই রাতে শাসন তথা বারাসত ২ নম্বর ব্লকের একমাত্র সিপিএমের পার্টি অফিসে হামলা করে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ করে সিপিআইএম। ভাঙা হয় দরজা-জানালা, চেয়ার। ফেলে দেওয়া হয় লাল ঝান্ডা। সিপিএম নেতৃত্বে দাবি, তৃণমূল দুষ্কৃতীদের ধরতে না পারলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়া হবে।
শাসনের সিপিএম পার্টি অফিসে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের ভাঙচুরের প্রতিবাদে রবিবার খড়িবাড়ি মধ্যমগ্রাম রোড টায়ার জ্বালিয়ে ও বাঁশের ব্যারিকেড করে রাস্তা অবরোধ সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। গ্রেফতার না করলে আন্দোলন চলবে ।
অন্যদিকে, শাসক দলের দাবি নিজেরাই ভাঙচুর করে শাসকদলের কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করছে সিপিএম। প্রায় ৪০ মিনিট অবরোধ চলে। অবরোধ চলাকালীন মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ দুষ্কৃতীদেরকে গ্রেফতার করা হবে এই আশ্বাস দেয়। এর পরেই সিপিএম নেতৃত্ব অবরোধ তুলে নেন।
বাম জমানায় সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি ছিল শাসন। শাসনের বাম নেতা মজিদ মাস্টারের কথায় বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত বলে মন্তব্য করতে অনেকেই। সেই জমান আর নেই। ২০১১ সালের পর থেকেই বামদের প্রভাব কমতে শুরু করে এই এলাকায়। একাধিক সিপিআইএমের পার্টি অফিস বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়। কর্তৃত্ব বাড়ে তৃণমূল কর্মীদের।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসেই শাসনের এই পার্টি নতুন করে চালু করে সিপিআইএম নেতৃত্বরা। পুলিশি প্রহরায় দীর্ঘ ১২ বছর পর শাসনে বন্ধ পার্টি অফিস চালু করে সিপিআইএম। এমনকি তৃণমূল থেকে বেশি কিছু কর্মী, সমর্থকরা সিপিআইএম যোগদান করে। তারপর থেকেই স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই দলীয় কার্যালয়টিকে টার্গেট করেছিল বলে দাবি সিপিআইএম নেতৃত্বের।