Puri Howrah Vande Bharat : ‘হঠাৎ বিকট একটা আওয়াজ তারপর…’, হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শোনালেন সৈকত – tour blogger saikat banerjee shares his experience who got stuck in puri howrah vande bharat express


সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্লগার

ঘুটঘুট করছে অন্ধকার। বিকল সমস্ত এসি। জানলার কাচ আটকানো। এমনই দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে পড়তে হল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের দ্বিতীয় দিনেই। ঘড়িতে তখন বিকেল ৫টা। সবেমাত্র ওডিশার জাজপুর-কেওনঝড় রোড পেরিয়েছিলাম আমরা। এরপর বৈতরণী নদীর উপর ব্রিজে ট্রেন উঠতেই ঘটল বিপত্তি। বাইরে তখন প্রবল কালবৈশাখী ঝড়। আচমকাই এক বিকট আওয়াজ হল। তারপর জোরে ধাক্কা খেয়ে ট্রেনটি থমকে গেল।

Howrah Puri Vande Bharat: যাত্রার দ্বিতীয় দিনেই হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বিপত্তি!
গতকাল এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম কমার্শিয়াল রান ছিল। সেই ট্রেনে আমরা পুরী পৌঁছেছিলাম। দারুন অভিজ্ঞতা ছিল। আজ পুরী থেকে হাওড়া ফিরছিলাম বন্দে ভারতের দ্বিতীয় ট্রেনে। আমরা রয়েছি সি-১৪ কোচে। এটি একদম পাইলট কেবিনের পাশেই। কিন্তু, ফেরার পথে ঘটে গেল ভয়ংকর দুর্ঘটনা।

Howrah Puri Vande Bharat: হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী মোদী, জানুন ট্রেনের টাইম টেবিল
একটি গাছের ডালের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পরই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। বুঝতে পারি ট্রেনের পাইলট কেবিনের কাঁচ ঝনঝন করে ভেঙে পড়েছে। বন্দে ভারতের ট্রেন কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়রদের তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। জানা যায়, ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে প্যান্টোগ্রাফও ভেঙে পড়েছে।

Howrah Puri Vande Bharat : হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত প্রথম দু’দিনই ‘হাউসফুল’
এই বিপত্তির জেরে প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈতরণী নদীর উপর রেল ব্রিজে দাঁড়িয়ে পুরী-হাওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই, এসি বন্ধ, জানলার কাচও আটকানো। তবে সৌভাগ্যবশত ট্রেনের সমস্ত দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে তাই আমাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। এসি থেকে টপ টপ করে জল পড়ছে। চারিদিকে জলে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কাছে সকলকেই হার মানতে হয়।

Vande Bharat Express : নিউ কোচবিহার স্টেশনে বন্দে ভারতের স্টপেজ নেই কেন ? প্রতিবাদ তৃণমূলের
প্রথমটায় যাত্রীরা সকলেই বীভৎস ঘাবড়ে গিয়েছিল। প্যানিক করতে শুরু করেছিলেন সকলেই। তারপর বন্দে ভারত কর্মীদের তরফে আশ্বস্ত করা হয়। জানানো হয় দ্রুতই এই বিপদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করা হবে। একটি ডিজেল ইঞ্জিন এনে সেটির মাধ্যমে যাত্রীসহ ট্রেনটিকে হাওড়া নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে তা কখন আসবে জানি না। সকলেই খুব উদ্বিগ্ন আমরা। ২৪২০ টাকার টিকিটে যাত্রা করছি। ফলে ট্রেনের মধ্যে নির্ধারিত সময় খাবার দেওয়া হচ্ছে, রয়েছে জলের ব্যবস্থাও। এখন দেখা যাক, কত শীঘ্র আমরা এই বিপদ থেকে মুক্তি পাই আর হাওড়া ফিরতে পারি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *