Santipur State General Hospital : চারবার গর্ভপাত! বিরল অস্ত্রোপচার করে মহিলা-শিশুকে নয়া জীবনদান নদিয়ার সরকারি হাসপাতালের – nadia santipur state general hospital doctor has done a successful rare operation


West Bengal News চারবার গর্ভপাত, রক্তে সংক্রমণ, জরায়ুতেও সমস্যা। জটিল সমস্যায় আক্রান্ত প্রসূতিকে অপারেশন করে নতুন জীবনকে পৃথিবীর আলো দেখালেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সাফল্যের নজির গড়েছে নদিয়া শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। জানা গিয়েছে, ওই প্রসূতির অপারেশন করেন চিকিৎসক পবিত্র ব্যাপারী।

জানা যাচ্ছে, নদিয়ার বাদকুল্লার বাসিন্দা গৃহবধূ মুনমুন সরকার। তাঁর বয়স ২৮ বছর। সাত বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এর মধ্যে তিনি চারবার গর্ভবতী হয়েছিলেন। কিন্তু, প্রত্যেকবার কখনও তিন মাস, কখনও পাঁচ মাসের গর্ভবতী অবস্থাতে মৃত্যু হয় শিশুর। একাধিক জায়গায় চিকিৎসা করেও সুরাহা পাচ্ছিলেন না তিনি।

Asansol Super Speciality Hospital : প্রসব যন্ত্রণা ছাড়াই নর্মাল ডেলিভারি, নজির আসানসোলের সরকারি হাসপাতালে
অবশেষে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক পবিত্র ব্যাপারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। এরপর বিভিন্ন পরীক্ষার নিরীক্ষা করা হয় তাঁর তত্ত্বাবধানে। শনিবার রাতে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন ওই বধূ। গতকাল সফল অপারেশনের মধ্য দিয়ে সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

এই বিষয়ে চিকিৎসক পবিত্র ব্যাপারী বলেন, “ওই বধূ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যা। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবেও সচ্ছল নয়। আমি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে শান্তিপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেছিলাম। পরীক্ষা করে জানা যায়, বধূর রক্তে ইনফেকশন ছিল। একইসঙ্গে তাঁর জরায়ুতে সমস্যার কথাও সামনে আসে। অপারেশন পুরোপুরি সফল। বর্তমানে মা এবং ছেলে দুজনেই সুস্থ রয়েছে।”

Balurghat District Hospital : সেরার শিরোপা! বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের মুকুটে উঠল নয়া পালক
পাশাপাশি তিনি বলেন, “হাসপাতালের নার্স থেকে শুরু করে অন্যান্য চিকিৎসক এবং হাসপাতাল সুপার সমস্ত ধরনের সাহায্য করেছে।” এই চিকিৎসকের কথায়, “সরকারি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যে ধরনের পরিকাঠামো থাকে তাতে এই ধরনের অপারেশন যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সকলেই সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন।”

Madan Mitra: SSKM-এ দালাল চক্রের অভিযোগ নস্যাৎ! নাম না করে মদনকে কড়া জবাব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের
অন্যদিকে, দীর্ঘদিন পর পরিবারে নতুন অতিথি আসায় খুশি মুনমুন সরকারের পরিবার। তাঁর স্বামী বাপি সরকার বলেন, “আমরা একাধিকবার একাধিক জায়গায় বহু চিকিৎসা করিয়েছি। চারবার সন্তান হারিয়ে আমার স্ত্রী হতাশ হয়ে পড়েছিল। অবশেষে ডাক্তার পবিত্র ব্যাপারীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় আমাদের। তাঁর কাছেই চিকিৎসা করিয়েছিলাম স্ত্রীর।”

বাপি আরও বলেন, “নতুন চিকিৎসকরের কথা মোতাবেক চিকিৎসা করিয়ে আমরা সুফল পেয়েছি। বর্তমানে আমার স্ত্রী এবং সন্তান দুজনেই ভালো আছে। ওদের বাড়ি নিয়ে যাব। সকলেই প্রতীক্ষা করছে। ডাক্তার দিদিমনিকে ধন্যবাদ। হাসপাতালের চেষ্টাতেই আমাদের পরিবার নতুন করে বাঁচার কারণ খুঁজে পেল।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *