স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে সাহাড়দাতে মাঠের মাঝের ডোবা থেকে বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ৮ বস্তা মশলা ও বারুদ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গত সপ্তাহ থেকে এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতে ফের একবার বিস্ফোরক ও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় এক গ্রামবাসী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই বিস্ফোরণের কারণে এতজনের প্রাণ চলে গেল। সেখানে ফের এই বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার হওয়ার কারণে আমরা আতঙ্কিত। পুলিশের বদলে স্থানীয়দের বোমা তৈরির মশলা খুঁজে বের করতে হচ্ছে, এটাই খুব দুর্ভাগ্যের।’
গত মঙ্গলবার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরার খাদিকুল গ্রাম।কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের বেআইনি বাজি কারখানায় হঠাই বিস্ফোরণ হয়। তীব্রতা এতটাই ছিল যে বাড়ির চাল উড়ে গিয়ে শুধু কাঠামো ও ধ্বংসাবশেষ ঘটনাস্থলে পড়েছিল। বিস্ফোরণের ফলে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের ছিন্ন ভিন্ন দেহ ছিটকে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে। ঘটনার পরই গুরুতর আহত অবস্থায় বাইকে ওড়িশা পালিয়ে যান ভান। কটকের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে বিস্ফোরণের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এগরার ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে আড়াই লাখ ও আহতদের পরিবারকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার এগরা থানার ওসিকে অন্যত্র বদলির সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন।
অন্যদিকে এগরাতে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে বিজেপি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব হয়। নিজের অবস্থান থেকে খানিক সরে গিয়ে মমতা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এনআইএ তদন্ত হোক না। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি পাওয়া উচিত।’