যেখানে বাজির কারখানা সেখানেই এইরকম ভয়ের পরিবেশ থাকে। এগরাতে অনেক মহিলা কাজ করতেন, ৭-৮ জন মহিলা যারা মারা গিয়েছেন, তাদের বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। তারা অনাথ হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সব জানে। সব জায়গা থেকে টাকা খাওয়ার এইরকম অভ্যাস হয়ে গেলে এই সমস্যার কোনোদিন সমাধান হবে না”।
সম্প্রতি এগরায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছে BJP। এই নিয়ে দিলীপ বলেন, “আগামিকাল বড় প্রতিবাদ সভা রয়েছে। বিরোধী দলনেতা থাকবেন, আমি এখনও ঠিক করতে পারিনি ওখানে যাব কিনা। কাল কিন্তু বড় প্রতিবাদ মিছিল ওখানে হবে”। দিলীপ কথা বলেন চাকদাতে শুটআউট নিয়েও।
তিনি বলেন, “গুলি চলাটা নতুন কিছু নয় পশ্চিমবঙ্গে। সব দুষ্কৃতীরাই তৃণমূলের পতাকার তলায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। পার্টিটার দুষ্কৃতীকরণ হয়েছে, সমাজেরও অপরাধীকরণ হয়ে যাচ্ছে। এরা যদি দাপিয়ে বেড়ায় ভদ্রলোকেরা কোথায় যাবেন? দুষ্কৃতীরাই জনপ্রতিনিধি হয়ে গিয়েছে। সরকারি ফান্ড কেউ লুঠ করছে, সাধারণ মানুষকেও লুঠ করছে।
প্রতিবাদ হলেই ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি কাটাকাটি হচ্ছে”। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের নাম বদলের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথাতে সমর্থন জানিয়ে দিলীপ বলেন, “প্রত্যেকটা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম এখানে পালটে দেয়া হয়। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েও দিয়েছে, যদি নাম বদল হয় তাহলে টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
যে প্রকল্পের টাকা সেই প্রকল্পে যাবে। অনেক প্রকল্পের টাকা বন্ধ হয়েছে, আরও প্রকল্পের টাকা বন্ধ হবে। এটা সরকার ইচ্ছামত করছে না, যোজনা কমিশন আইনগতভাবে টাকা আটকে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তো মোচ্ছব করতে দেবে না। সাধারণ মানুষের টাকা যদি না পৌঁছে তাহলে তা বন্ধ করে অন্যভাবে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে”।
গতকাল দুর্যোগের কবলে পড়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই বিষয়ে দিলীপ বলেন, “পূর্বভারতে কালবৈশাখী প্রায়ই হয়। আয়লা আমফান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে, মানুষ মারা গিয়েছে, এটা নতুন কিছু নয়। ভাগ্য ভালো কোনও দুর্ঘটনা হয়নি। ট্রেনের লাইনে গাছ পড়ে যায়, তার ছিঁড়ে যায়, এটা নতুন কিছু নয়। বন্দে ভারত বলে এটা খবর হল”।