গত ১ এপ্রিল এই সংশোধনাগার থেকেই আলিপুর আদালত ও হেস্টিংস থানায় চিঠি লিখে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিষেকের নাম জড়িয়ে দিতে তাঁকে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতেই আদালত ইডি ও সিবিআই দুই তদন্তকারী সংস্থাকেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। শনিবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব সেরে নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে অভিষেক দাবি করেছিলেন, এই জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য, অশ্বডিম্ব।
তাঁকে যে সব প্রশ্ন করা হয়েছে, তার অধিকাংশই বোগাস। যদিও সিবিআই মনে করছে, কুন্তলকে ফের জেরা করলে এই চিঠির নেপথ্যে নির্দিষ্ট কারও হাত আছে কি না, তা বোঝা যাবে। এই মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টও সংশয় প্রকাশ করেছিল, তদন্ত বানচাল করতে কোনও প্রভাবশালী নেতা এই চিঠি লেখার পিছনে যুক্ত থাকতে পারেন। ফলে এই দিকটিও তদন্তকারী সংস্থা খতিয়ে দেখছে।
পাশাপাশি অভিষেক শনিবার দাবি করেছিলেন, তাঁকে নিয়োগ মামলায় বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তদন্তকারীরা। যাঁদের নাম তাঁকে বলা হয়েছিল, তাঁদের বেশিরভাগেরই বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। সিবিআই সূত্রের খবর, এখনও এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশ কয়েকজন এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।
যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বাইরেও আরও কয়েকজন এজেন্ট রয়েছেন। সেই ব্যাপারে অভিষেক যে তথ্য সিবিআইকে দিয়েছেন, সেগুলিও কুন্তলের কাছ থেকে যাচাই করবেন তদন্তকারী অফিসাররা। যেহেতু হেস্টিংস থানাতেও এই চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার ভিত্তিতে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেছে কি না–তাও জানতে চাওয়া হবে।