School Fees : শিক্ষা মিষ্টির দোকান নয়! ফি বৃদ্ধিতে তোপ কোর্টের – the state government said in a case in the calcutta high court that no private school can increase the fee as per the permission of the government


জয় সাহা
সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও বেসরকারি স্কুল ইচ্ছেমতো ফি বাড়াতে পারে না বলে কলকাতা হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত একটি মামলায় জানাল রাজ্য সরকার। দু’টি স্কুলের লাগামছাড়া ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা নিয়ে গত ১৮ মে শুনানি ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনজীবী ফি বাড়াতে না-পারার ওই কথা জানান।

D El Ed College : ন্যূনতম হাজিরা ছাড়া পরীক্ষায় না, জানাল পর্ষদ
এরপর ফি বৃদ্ধি নিয়ে শহরের দু’টি অভিজাত বেসরকারি স্কুলকে কার্যত ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি বসু। বলেন, ‘শিক্ষা কোনও মিষ্টির দোকান নয়, যে একটি দোকান কোনও মিষ্টি ১০ টাকায় বেচবে আর কোনও দোকান সেই মিষ্টি ৫ টাকায় বেচবে।’ আদালতের পর্যবেক্ষণ – বেসরকারি সংস্থা বলেই যেমন খুশি ফি নির্ধারণ করা যায় না। তবে এখনও এ নিয়ে কোনও নির্দেশ জানায়নি আদালত। গরমের ছুটির পর জুনে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। বিচারপতির কথায়, ‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। বহু অভিভাবক-পড়ুয়া এর সঙ্গে জড়িত। এটাকে অ্যাড্রেস করতেই হবে।’

বিচারপতি বসুর এজলাসে সম্প্রতি বিড়লা ভারতী এবং সাউথ পয়েন্ট স্কুলের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া ফি বৃদ্ধি নিয়ে মামলা দায়ের করেন অভিভাবকদের একাংশ। বিড়লা ভারতীর বিরুদ্ধে অভিভাবক ফোরামের অভিযোগ, সেখানে বিভিন্ন ক্লাসে ২২-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ফি বাড়ানো হয়েছে। সাউথ পয়েন্টে ১০০ শতাংশের বেশি ফি বাড়ানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে।

Recruitment Scam : সুপ্রিম কোর্টে পিছোল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলা, শুনানি গরমের ছুটির পর
যদিও দু’টি স্কুলই আদালতে দাবি করে – অতীতে ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বলা হয়েছিল, করোনার দু’বছর যে ক্ষতি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে সব স্বাভাবিক হয়ে গেলে ফি বাড়িয়ে তা পূরণ করা যাবে। সাউথ পয়েন্টের আইনজীবী আরও দাবি করেন, বেসরকারি স্কুল ট্রাস্ট বা সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত হয়। সেখানে অভিভাবকরা ফি জেনেই পড়ুয়াদের ভর্তি করেন। তা বাড়ানোর ব্যাপারে অনুমোদনকারী বোর্ড বা রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

Calcutta High Court : আচার্য মুখ্যমন্ত্রী, জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে
যদিও বিচারপতি এই যুক্তির সঙ্গে সহমত হননি। তিনি বলেন, ‘আপনি কোনও পড়ুয়ার ফি ডবল করে দিতে পারেন না। এর কোনও ব্যাখ্যা আপনাদের কাছে নেই। ডিভিশন বেঞ্চের যে নির্দেশের কথা বলা হচ্ছে, সেটা করোনাকালে একটা আপৎকালীন পরিস্থিতির উপর দেওয়া হয়েছিল।’

আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকার, অভিভাবকদের আইনজীবীরাও। দু’টি স্কুলই সিবিএসই বোর্ডের হওয়ায় তাদের তরফেও একজন আইনজীবী ছিলেন। বোর্ডকে বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, ‘ফি নিয়ন্ত্রণে কি আপনাদের কোনও ভূমিকা আছে?’ বোর্ড জানায়, এটা রাজ্যের উপর ছাড়া হয়েছে। এরপরই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য জানায়, ফি বাড়াতে হলে তাদের অনুমতি লাগে।

Teacher Transfer : শিক্ষক, কর্মীদের বদলির নতুন নীতি স্থগিত কোর্টে
বিড়লা ভারতী স্কুলের অভিভাবক ট্রাস্টের তরফে পলাশ মিত্র বলেন, ‘এমন কোনও নির্দেশ যে রাজ্য সরকার দিয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। স্কুলও এমন বিজ্ঞপ্তির কথা জানায়নি। এটা জানার পর থেকে শতাধিক অভিভাবক পুরোনো হারেই ফি দিচ্ছেন।’ সাউথ পয়েন্টের মামলাকারী অভিভাবক সৌপর্ণ চৌধুরীর অভিযোগ, কেবল পঞ্চম শ্রেণিতেই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তুলনায় চলতি বছর ১৪৫ শতাংশ ফি বেড়েছে। দু’টি স্কুল কর্তৃপক্ষই অবশ্য বলছেন, আদালতে যা বলার বলা হবে। অল্প ক’জন অভিভাবক এমন সমস্যা তৈরি করছেন। এ ব্যাপারে রাজ্যের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন ইউনাইটেড গার্ডিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশনের সুপ্রিয় ভট্টাচার্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *