একই সঙ্গে ঐ কথার রেশ ধরেই আত্মসমালোচনার সূরে তিনি বলেন, ”এটা আমাদের ব্যর্থতা।” এছাড়াও আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন ও প্রার্থী পদ নিয়ে স্বভাবসিদ্ধভঙ্গিতে কড়া বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ”দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে যাচ্ছি, আপনারা আপনাদের মতামত দিচ্ছেন, এরপর দল যাকেই প্রার্থী করবে তা আপনার ভালো লাগুক আর খারাপ লাগুক, আপনার পছন্দ হোক বা অপছন্দ হোক, আপনার কাছের হোক বা দূরের, ঘনিষ্ঠ হোক বা না হোক-কাঁধে করে তাকেই বৈতরণী পার করতে হবে। এটাই দলীয় শৃঙ্খলা।”
এদিন অভিষেক ফের আরও একবার দলের নেতা কর্মীদের দুর্নীতি থেকে বিরত থাকার বার্তা দিলেন। তিনি মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ”পঞ্চায়েতে জেতা মানেই পাঁচ বছরের লাইসেন্স নয়, তিন মাসের লাইসেন্স।” কাজ করলে তবেই তিন মাস অন্তর ‘লাইসেন্স রিনিউ’ হবে বলেও স্পষ্টতই জানিয়ে দেন।
মাঝ পথে বাঁকুড়া থেকেই ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচী স্থগিত রেখে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হয়ে সেই বাঁকুড়াতেই ফিরে এসে কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও এক হাত নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ”ইডি-সিবিআই লাগিয়ে খুব খুশি? আমাকে কতবার ডাকবে? পাঁচবার-ছ’বার…। সোনামুখীতে বলে গিয়েছিলাম ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করুক। বুক চিতিয়ে গেছি, বুক ফুলিয়ে বেরিয়ে এসেছি।”একই সঙ্গে নিজেদেরকে ‘বিশুদ্ধ লোহা’র সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ”গলা কেটে দিলেও আমাদের জয়বাংলা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ বেরোবে।” এদিন সভামঞ্চ থেকে আবারও নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। বলেন, ”ইডি-সিবিআই লাগালেও তাঁর ‘কেশাগ্র’ স্পর্শ করা সম্ভব নয়, এসব বিষয়ে ‘বিচলিত হবেন না, মানুষ চাইলে তৃণমূলই জিতবে।” বলেও এদিন তিনি দাবি করেন।
এদিন দলীয় অধিবেশনে আগে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের ৯২ টি গ্ৰাম পঞ্চায়েত থেকে আসা তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মীদের ভোটদান কর্মসূচী হয়। নির্দিষ্ট তাঁবুতে দলের নেতা কর্মীরা উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে।