Bengal BJP : বুথে সংগঠন নেই, তাই পদ্মের অস্ত্র সিবিআই? – does bengal bjp rely on cbi to cover up organizational weaknesses


এই সময়: দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে শনিবার প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এজেন্সি লাগিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী দলগুলির কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে বলে বার বার সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জোড়াফুল নেতৃত্বের সেই অভিযোগেই কি কার্যত সিলমোহর দিচ্ছে বঙ্গ-বিজেপি? সিবিআইয়ের তৎপরতা বৃদ্ধির দাবিতে গত বৃহস্পতিবারই প্রকাশ্যে সওয়াল করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Sukanta Majumdar Dilip Ghosh : অভিষেকের তোপ: শুভেন্দুর হয়ে সুকান্ত, দিলীপের ব্যাটিং
পর দিনই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে গিয়ে এ নিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসে দলের আরটিআই সেল। প্রশ্ন উঠেছে, সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতেই কি এজেন্সির ভরসায় বঙ্গ-বিজেপি! কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের সব বুথে কমিটি গড়ার কথা বললেও রাজ্য বিজেপির একাংশ যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তৎপরতা বাড়িয়েই বঙ্গে প্রভাব বাড়াতে চান–সেটা বার বারই সামনে আসছে। বস্তুত, সিবিআইয়ের ভূমিকায় গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বরং চাপা অসন্তোষ রয়েছে।

Abhishek Banerjee : কেন তলব নয় শুভেন্দু, দিলীপেদের! প্রশ্ন সংসদের
গুচ্ছ মামলার তদন্তভার পেয়েও সিবিআই-ইডি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেনি বলে মনে করেন দলের একাংশ। সারদা-নারদ মামলা কেন হিমঘরে–তা নিয়েও দলের অন্দরে একাধিক বার প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গ-বিজেপির নেতৃত্ব। এমনকী নানা সময়ে সিবিআইয়ের ভূমিকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছেও উষ্মা প্রকাশ করেছেন বঙ্গ-বিজেপির নেতারা। নিয়োগ দুর্নীতি, গোরু ও কয়লা পাচার নিয়েও সিবিআইয়ে সন্তুষ্ট নন তাঁরা। তাঁদের মতে, দ্রুত তদন্ত করলে আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারত কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

BJP Bengal : কর্নাটকে হারের প্রভাব বঙ্গ বিজেপির অন্দরে, ডানা ছাঁটা হবে বিএল সন্তোষ-ঘনিষ্ঠদের?
প্রশ্ন উঠেছে, কেন ফের সিবিআই-নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে এত সরব বিজেপি? রাজনৈতিক মহলের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক আবহে বুথস্তরে মজবুত সংগঠন গড়ে তৃণমূলের মোকাবিলা এ রাজ্যের বিজেপি নেতাদের পক্ষে কঠিন। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই যদি জোড়াফুল শিবিরের কোনও নেতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করে, তা হলে তৃণমূলকর্মীদের মনোবল ধাক্কা খাবে। তখন বুথস্তরে সংগঠন গড়ে তোলা কিছুটা সহজ হবে। দলের এক পদাধিকারীর কথায়, ‘সিবিআই তৎপর হলে মানুষ এটা বুঝবে যে তৃণমূল অসীম ক্ষমতার অধিকারী নয়, তৃণমূল নেতাদেরও বেকায়দায় ফেলা যায়। তখনই সাহস করে অনেকে আমাদের সমর্থন করবেন।’

Abhishek Banerjee : আজ ফের নবজোয়ার যাত্রা শুরু, চোখ শীর্ষ আদালতে
তৃণমূল নেতৃত্ব ঠিক এটাই অভিযোগের সুরে বলে থাকেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। মমতা-অভিষেক বার বার প্রকাশ্যে বলেছেন, সিবিআই-ইডি লাগিয়ে তাঁদের মুখ বন্ধ করা যাবে না। শাহর প্রসঙ্গ টেনেই অভিষেক বলেছেন যে, কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার আগে এক সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই এজেন্সি ব্যবহারের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। এখন বিজেপি নেতারাই সংগঠন মজবুত করতে সিবিআই-ব্যবহারের কথা বলায় তাঁদের অভিযোগই মান্যতা পেল বলে দাবি জোড়াফুল শিবিরের অনেকের। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপির আদি নেতারা বরং সিবিআই অফিসে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিন।’

Dilip Ghosh : ‘দিদির সুরক্ষা কবচই উঠে গিয়েছে, আর অভিষেকের…’, বিস্ফোরক দিলীপ
এ সব কটাক্ষের পরেও সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা নিয়ে তদ্বির করে এসেছেন রাজ্য বিজেপির কয়েক জন নেতা। উপরন্তু গত বৃহস্পতিবার প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ খোলাখুলিই বলে দেন, ‘আমরা অতীতে সিবিআই অফিস ঘেরাও করেছি। বিচারপতিরাও বলছেন, তদন্ত আরও দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। এত বড় বড় অপরাধ হয়েছে, অথচ এখনও কেউ সাজা পায়নি। আরও তাড়াতাড়ি তদন্ত করা উচিত। যাতে কেন্দ্রীয় সংস্থার উপরে মানুষের বিশ্বাস থাকে।’ তার পর দিনই নিজাম প্যালেসে গিয়ে স্মারকলিপিও দিয়ে এসেছেন বিজেপির আরটিআই সেলের প্রতিনিধিরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *