Dakshin 24 Pargana : রাজ্যে ৬ দিনে ৩ ভয়াবহ বিস্ফোরণ! চম্পাহাটিতে ২ মাস বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা পুলিশের – police banned sale of bets for 2 months in baruipur


West Bengal News : এগরা ও বজবজের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বাজির বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নামল বারুইপুর জেলা পুলিশ। বারুইপুরের চম্পাহাটির হারালে আগামী দু’মাস বাজি তৈরি, বাজি মজুত ও বাজি বিক্রি সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বারুইপুর জেলা পুলিশ। সোমবার বিকেলে বারুইপুরের চম্পাহাটি হারাল আতশবাজি অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে কড়া নির্দেশ দেন SDPO বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও IC বারুইপুর সৌমজিৎ রায়। উল্লেখ্য, চম্পাহাটির হারালে প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। সোমবার বিকেল থেকেই পুরোপুরি চম্পাহাটির হারালে প্রায় ১৫০টি বাজির দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

Nadia News : এগরা বিস্ফোরণের জের, নদিয়ায় উদ্ধার বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি
সোমবার বিকেলে পুলিশের পক্ষ থেকে SDPO বারুইপুর ও IC বারুইপুরের নেতৃত্বে ব্যাপক হারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের জেরে বারো হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করে বারুইপুর থানার পুলিশ। এই ব্যাপারে SDPO বারুইপুর বলেন, “এই অভিযান লাগাতার চলবে। দু’মাস বাজির সমস্ত রকমের কারবার নিষিদ্ধ করা হলেও কড়া নজরদারি চালানো হবে যে নির্দেশ অমান্য করে কেউ বাজি তৈরি করা বা বিক্রি করার চেষ্টা করছে কিনা”।

Budge Budge Blast : পুলিশি অভিযান অব্যাহত, বেলঘড়িয়া থেকে উদ্ধার ১০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি
উল্লেখ্য, এই এলাকাকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি তৈরির ‘হাব’ও বলা যেতে পারে। চম্পাহাটিতে সোলগলিয়া, হারাল, বেগমপুরের মতো অনেক গ্রামেই এমনই ছবি। চকলেট বোমা এখানে ‘কুটির শিল্প’। বাজি ফাটবে। তাতে মৃত্যুও হতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই এই সব এলাকায় বাজি বানানো চলে। নিষিদ্ধ শব্দবাজি।

North 24 Parganas News : এগরার ঘটনার পরেই তৎপরতা, বাজি কারখানা থেকে দোকানে আচমকা হানা পুলিশের
চকলেট বোমা তৈরির ছোট ছোট কারখানা একটু খোঁজ করলেই পাওয়া যায়। রাজ্যে যে সব জায়গায় বাজি তৈরি হয় পুরোদমে, চম্পাহাটি তার অন্যতম। গৃহস্থ বাড়িতেও হয়তো কারখানা রয়েছে। বাড়ির বৌ থেকে স্কুল পড়ুয়া, সকলেই হাত লাগায় বাজি তৈরি করতে। অতীতে বোমা বানাতে গিয়ে একের পর এক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

Howrah News : ফের অভিযান পুলিশের, হাওড়ায় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি সহ ধৃত ২
কিন্তু এই এলাকায় থামেনি নিষিদ্ধ বাজি তৈরি ও বিক্রির কারবার। কিন্তু এবার পুলিশ যেভাবে কোমর বেঁধে নেমেছে, তাতে শিয়রে মেঘ দেখেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “এলাকায় তেমন চাষাবাদ হয় না। কয়েক যুগ ধরে এখানকার মানুষ চকলেট বোমা তৈরি করছে। গোটা রাজ্যে তার চাহিদা আছে।

Maheshtala Blast : এগরার পর এবার মহেশতলা, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের বলি ২
এর জন্য আলাদা কারিগরও রাখতে হয় না। কিন্তু আগামী দু’মাস কিভাবে সংসার চলবে, সেই নিয়েই ভাবছেন সকলে”। এদিকে, আতসবাজি নিয়ে এবার বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। আজ বিকেল পাঁচটায় নবান্নে হবে এই বৈঠক। সরকারি আধিকারিক ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কয়েকটি বাজি ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরাও। এই বৈঠকে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *