যার মধ্যে দক্ষিণ কাশিনগর এর ১৫২ নম্বর বুথে প্রায় ১০০ টি পরিবারের জন্য এক কিলোমিটারের মধ্যে ৩ টি ICDS সেন্টার হয়ে গিয়েছে। একটি বহু পুরনো সেন্টার থাকলেও তার দুপাশে দুটি নতুন সেন্টার অস্থায়ী কর্মীদের বাড়িতে তৈরি হয়। যদিও বা নতুন সেন্টারগুলোতে কেবলমাত্র খাবার দেওয়া হয় ,পড়াশোনা করানো হয় না বলেই জানা গিয়েছে।
এবার এলাকার অভিভাবক অভিভাবিকারা এই নতুন সেন্টারগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, শনিবার কোনও রকম খাবার দেওয়া হয় না এবং প্রতি বৃহস্পতিবার খিচুড়ি দেওয়া হয়, ডিম তরকারি দেওয়া হয় না। সরকার যদি চাকরি দিতে পারে,তাহলে কেন শিশুদের খাবার বন্ধ করে বেতন দেওয়া হচ্ছে?
এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এক অভিভাবক জানান, “যেদিন থেকে এই নতুন ICDS সেন্টারগুলি চালু হয়েছে, সেদিন থেকেই এই সমস্যা হচ্ছে। শনিবার খাবার দিচ্ছে না, আর এদিকে বৃহস্পতিবার শুধুই খিচুড়ি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না আমরা সাফ জানিয়ে দিয়েছি। বাচ্চাদের খাবার ঠিকঠাক দিতে হবে।
কর্মীদের বেতন কিভাবে দেওয়া হবে সেটা সরকারের দায়িত্ব”। তবে এই বিষয়ে অস্থায়ী কর্মী ইন্দ্রানী পাল জানালেন, “সুপারভাইজারের নির্দেশে সেন্টারের দিদিমনি ২ টি সেন্টারে চাকরি করেন, তার মধ্যে এটি একটি। মাঝেমধ্যে উনি আসেন, আর হিসাব দেখেশুনে চলে যান।
তবে আমাদের পারিশ্রমিক মাত্র ৫০০ টাকা। তাও আবার প্রতিমাসে ঠিকমতো পাই না”। তবে আশায় আছেন অষ্টম শ্রেণী পাস ইন্দ্রানী পাল যদি চাকরিটা হয় পাকা হয়, এই আশাতেই কাজ করে যাচ্ছেন। যদিও এসব কথা কানে তুলতে রাজি নন কোনও অভিভাবকই।