বিক্ষোবে সামিল হন অভিভাবক এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। স্থানীয় বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলটি ভগ্নাবস্থায় ছিল। আদালতের নির্দেশেই সেটি ভেঙেছে জমির মালিক। হালিশহরের বাগমোড়ের কাছে একটি জমি ভাড়ায় নিয়ে ২০১৪ সাল থেকে চলছিল স্কুলটি।
স্কুল কর্তৃপক্ষের কথায় মূলত দুঃস্থ পরিবারের শিশুদের সামান্য অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা দেওয়া হতো ওই স্কুলে। অভিযোগ, কোনও রকম নোটিস ছাড়াই শনিবার রাতে স্কুলটি ভেঙে দেওয়া হয়। শিক্ষাবর্ষের মাঝে এহেন ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে অভিভাবকদের। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অর্পিতা বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা স্কুলটি ভাড়ায় চালাচ্ছিলাম। রবিবার সকালে জানতে পারি স্কুল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কোনও নোটিস আমাদের দেওয়া হয়নি। স্কুলের মধ্যে থাকা চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, হোয়াইট বোর্ড-সহ আনুসঙ্গিক সামগ্রীও ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক নথিও নেই।’
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সোমবার সকালে খুদে পড়ুয়ারা অভিভাবকদের নিয়ে স্কুলের সামনে জড়ো হয়। প্রিয়াঙ্কা দাস নামে এক অভিভাবিকা বলেন, ‘স্কুলটি ভেঙে দেওয়ায় বাচ্চাকে নিয়ে কী করব বুঝতে পারছি না।’
ভাঙা স্থানে সম্ভব না হলে হালিশহরেরই অন্য কোনও জায়গায় যাতে স্কুল বাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, তার দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থানীয় বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, হালিশহরের পুরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। পুরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘শুনেছি আদালতের কোনও নির্দেশ নিয়ে স্কুলটি ভাঙা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলব।’