জামাই ষষ্ঠীর আগেই বাঙালির প্রিয় মাছ নিয়ে এবার খারাপ খবর। জামাই ষষ্ঠীতে মাছের দাম অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ, জোগান কম থাকায় জামাই ষষ্ঠীতে মাছের দাম বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়রই মন খারাপ।
জানা গিয়েছে, এবারের জামাই ষষ্ঠীর আগে, নদী ও সমুদ্রের মাছের জোগান নেই। স্বাভাবিকভাবে যাঁরা ইলিশ, পমফ্রেট, ভেটকি সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ মজুত করে রেখেছেন, তারা বেশি দামে তা বিক্রি করবেন। প্রখর গরমের কারণে নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। ফলে বাজারে মাছের জোগান অনেক কম। সেই কারণে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
তবে মাছের দাম বেশি হলেও জামাইয়ের আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি রাখতে চান না শ্বশুর-শাশুড়িরা। কষ্ট হলেও অতিরিক্ট গাঁটের কড়ির খরচ করে বাজার থেকে তাঁরা মাছ কিনছেন। অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি, প্রত্যেকবারের তুলনায় এবারের জামাই ষষ্ঠীতে মাছের বিক্রি কিছুটা কমেছে। দামের কারণে অনেকে অল্প পরিমাণ মাছ কিনছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রতারা।
মনোজিৎ আইধ নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘মাছের জোগান কম, কারণ সরকার থেকে মাছ ধরা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ এখন মাছ ছাড়ার সময়। জামাই ষষ্ঠীতে ইলিশ, পমফ্রেটের চাহিদা সব থেকে বেশি থাকে। ফলে ক্রেতাদের চাহিদা আমরা মেটাতে পারছি না। আগের সংরক্ষিত মাছই বিক্রি করতে হবে। কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দাম বাড়তে পারে।’
জামাইয়ের জন্য মাছ কিনতে আসা অসীমা মাইতি নামের এক মহিলা বলেন, ‘মাছ না পাওয়া গেলে আর কী বা করব! চিন্তুা করে কোনও লাভ নেই। যত দামই হোক জামাইয়ের জন্য মাছ তো কিনতেই হবে। তবে হ্যাঁ টাকা সাশ্রয়ের জন্য পরিমাণ কমাতে হবে।’