১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত পার্কিং ফি চালু করেছিল কলকাতা পুরসভা। এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়ানো হয়েছিল পার্কিং ফি। কলকাতা পুরসভার এই ‘এক তরফা’ সিদ্ধান্তে বেজায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হতেই তড়িঘড়ি পার্কিং ফি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
পুরসভার পার্কিং বিভাগ সূত্রে খবর, বিষয়টি তৎপরতার সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ বিগত ১২ বছর ধরে শহরের পার্কিং ফিতে কোনও বদল আসেনি। পার্কিংয়ের লিজ নেওয়া সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধেও অনেক সময় বেআইনিভাবে টাকা তোলার অভিযোগও সামনে এসেছিল। গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তিনি জানিয়েছেন, নবান্নের অনুমোদন চেয়ে দ্রুত চিঠি পাঠানো হবে।
পুরসভার পার্কিং বিভাগের আধিকারিকদের দাবি, পার্কিং ফি দ্রুত বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাদের মতে এতে একদিকে যেমন পুরসভা কোষাগার ভরবে, অন্যদিকে অসাধু পার্কিং কর্মীদেরও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। পুর আধিকারিকরা মনে করছেন, এক লাফে আড়াই গুণ পার্কিং ফি বৃদ্ধি ‘বাড়াবাড়ি’ হলে গেলেও তা সংশোধনের জায়গা রয়েছে। কিন্তু পুরসভার রোজগার বাড়াতে ফি বৃদ্ধি ভুল নয়।
পুরসভা সূত্রে খবর, নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে প্রস্তাব দেওয়ার আগে দিল্লি, মুম্বই চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর মতো শহরের পার্কিং ফিয়ের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। চিঠির সঙ্গে সেই তালিকাও নবান্নে পাঠানো হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার পার্কিং ফি বৃদ্ধির ঝুঁকি নেয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
কলকাতার বাসিন্দা পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ শুভজিৎ রায় বলেন, ‘সামান্য কিছু পার্কিং ফি বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু মানুষের উপর বেশি বোঝা চাপানো উচিৎ নয়। ফি বৃদ্ধি হলে সরকারের আয় বাড়বে। বেআইনিভাবে ফি নেওয়া বন্ধ হবে।’