Kolkata Police : চাকরি প্রতারণায় আগেই ধৃত ASI ও তাঁর স্ত্রী! বিশু পাকড়াও হতেই জানা গেল লাখ লাখ লেনদেনের পদ্ধতি – kolkata police arrested another man from howrah on cheating case


চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার হন কলকাতা পুলিশে এএসআই পদে কর্মরত সঞ্জীব দেঁড়ে এবং তাঁর স্ত্রী বর্ণালি দেঁড়ে। কলকাতা পুলিশের প্রতারণা দমন শাখা এই দম্পতিকে গ্রেফতার করে। স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি প্রাইমারিতে চাকরি করে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ ছিল ওই দম্পতির বিরুদ্ধে।ধৃত এএসআই সঞ্জীবের স্ত্রী হাওড়ার খলিশানি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের হয়ে নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার গভীর রাতে উলুবেড়িয়ার খলিশানি দশভাগা থেকে বিশু পোদ্দার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা।

Kolkata Police : সরষের মধ্যেই ভূত! সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকার প্রতারণা, গ্রেফতার ASI ও তাঁর স্ত্রী
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করত এই দম্পতি। সোমবার রাতে ধৃত দম্পতিকে নিয়ে লালাবাজারের গোয়েন্দারা বাউড়িয়া বুড়িখালিতে আসে। ধৃতদের নিয়ে তাদের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়।

প্রায় ঘন্টাখানেক ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর পর গোয়েন্দারা ধৃত বর্ণালী দেঁড়ের বাপের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। পরে দশভাগা থেকে বিশু পোদ্দার নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও বিশুকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তাঁর মা শ্যামলী পোদ্দার। তিনি জানান, গাড়ির চালক না এলে বর্ণালী তাকে গাড়ি চালানোর কথা বলত। মায়ের দাবি, গাড়ি করে বর্ণালীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত বিশু।

Durgapur Police : দুর্গাপুর পুলিশের জালে ভুয়ো আর্মি অফিসার, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র-সেনার পোশাক
বিশুর মায়ে দাবি, তাঁর ছেলেকে মিথ্যে কথা বলে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে জব কার্ড হোল্ডার। বর্ণালী ম্যাডাম ছেলের অ্যাকাউন্টে জব কার্ডের টাকা ঢোকানোর নাম করে এইসব বেআইনি টাকা ঢুকিয়েছেন।’ তাঁর দাবি, ছ’মাস আগে বিশু গোটা ঘটনার কথা জানতে পারে। শ্যামলী বলেন, ‘আমি চাই ছেলে ভালোয় ভালোয় বাড়ি ফিরে আসুক।’

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য দফতর, প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি, এমনকী আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা তুলেছিলেন এই দম্পতি। টাকা লেনদেনের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হত বলে তদন্তে জানা গিয়েছে।

Money Laundering : ৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার! লালবাজারের স্ক্যানারে সুন্দরী ও তার সঙ্গীরা
সম্প্রতি এক প্রতারিত লালবাজারে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর পর লালবাজারের গোয়েন্দারা তদন্ত নামে। দেঁড়ে দম্পতির পাশাপাশি সৈকত দে নামের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও গ্রেফতার করা হয়। বিশুর গ্রেফতারির পর এখনও অবধি এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। এই ঘটনার পিছনে অন্য কেউ জড়িত রয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *