প্রসঙ্গত চাঁচল ১ নং ব্লকের কলিগ্রাম অঞ্চলকে সাংগঠনিক ভাবে তিন ভাগে ভাগ করেছিল তৃণমূল। সম্প্রতি নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে জেলায় এসেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদায় জেলা নেতৃত্ব এবং পদাধিকারীদের নিয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। সেখানে একই অঞ্চলে একাধিক অঞ্চল সভাপতি থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন একটা অঞ্চলে একজন সভাপতি থাকবে। সেই অনুযায়ী শুরু হয় প্রক্রিয়া। দলীয় সূত্রের খবর, কলিগ্রাম অঞ্চল থেকে সভাপতি এবং চেয়ারম্যান হিসেবে নাম পাঠানো হয় মির্জা ইফতাবউদ্দিন এবং জিতেশ কুন্ডুর। আর এতেই বেজায় চটেছেন কলিগ্রাম অঞ্চল (B) প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি জামিল খান।
কলিগ্রামের নূরগঞ্জের দলীয় কার্যালয় থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল খান এবং চাঁচল বিধানসভার বিধায়ক নিহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “অঞ্চল সভাপতি এবং অঞ্চল চেয়ারম্যান নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনও আলোচনা করা হয়নি আমাদের সঙ্গে। স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রধান নিজের ঘনিষ্ঠদের সেই পদে বসিয়েছেন। আর প্রধানকে মদত দিয়েছেন বিধায়ক”। এই মর্মে জেলা সভাপতিকে অভিযোগ করেছেন তিনি এমনটাই দাবি জামিল খানের।
যদিও রেজাউল খানের পালটা দাবি অভিযোগকারীরা দলকে ভালোবাসে না শুধু পদ ভালবাসে। তিনি বলেন, “যারা এসব মনগড়া অভিযোগ করছেন, তাঁদের সঙ্গে দলের কতটা সম্পর্ক আছে, সেটা নিয়ে আমাদের মনে সন্দেহ আছে। শুধু পদ পেলেই দলকে ভালোবাসা যায় না। দলকে ভালবাসতে হয় অন্তর থেকে”।
মানুষ তাদের সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করেন রেজাউল। আর প্রধানের পাশে দাঁড়িয়ে সমগ্র অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে অভিযোগকারীদের ভিত্তিহীন বলে কটাক্ষ করেছেন বিধায়ক। যা নিয়ে ফের প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। আর সমগ্র ঘটনা সামনে আসতে তৃণমূলকে একযোগে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলের নেতৃত্ব।