Nadia News : আর্জিতেও আসেননি ডাক্তার, চোখের সামনে মৃত্যু বোনের – nadia a girl allegedly died without treatment


এই সময়, কৃষ্ণনগর: একে শ্বাসকষ্ট। তার উপরে রক্তবমি। হাসপাতালের বেডে ছটফট করছেন বছর ৩৫ এর রীতা বিশ্বাস। বোনের ওই অবস্থা দেখে উদ্‌ভ্রান্ত হয়ে নার্স ও চিকিৎসকের কাছে বার বার ছুটে গিয়েছিলেন দাদা। কাতর আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, ‘একবার, প্লিজ একবার বোনকে ভালো করে দেখুন!’ অভিযোগ, সাহায্য তো দূরের কথা, হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে বলেন, ‘এক আধটা রোগী মরতেই পারে। তিনি যেতে পারবেন না।’ রবিবার বিকালে বোনের মৃত্যুর পরে নদিয়ার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অর্জুন মণ্ডল।

Barasat Hospital : এক রোগীর রক্ত অন্যকে! গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ বারাসত হাসপাতালে
এই ঘটনায় হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভও দেখান রোগীর আত্মীয়রা। ময়না তদন্ত না করে দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি সামাল দেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা। চলে আসে পুলিশও। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতাল সুপার পরাশর পোদ্দারের দাবি, ‘পরিবারের অভিযোগ একদমই সত্যি নয়। না হলে ওই রোগীকে কেনই বা আইসিইউতে রেফার করা হবে।

Hooghly News : অসুস্থ বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখেও ভ্রূক্ষেপ নেই কারও, অমানবিকতার ছবি চন্দননগর হাসপাতালে
ডাক্তারের নির্দেশেই করা হয়েছে। আর বমি, রক্তবমি ইত্যাদি নানা উপসর্গ যখনই পরপর দেখা গিয়েছে, প্রতিবারই ডাক্তারবাবু দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়েছেন।’ নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, ‘এ নিয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গড়া হবে।’ তবে রোগিণীর পরিবারের পক্ষ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। তিনি বলেন, ‘এই সুপার হাসপাতাল প্রশাসন চালাতে অনভিজ্ঞ। অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তদন্ত হওয়ার দরকার।’

Nadia News : কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল পরিদর্শনে সাংসদ, তাতেও হল না অবস্থার পরিবর্তন
জানা গিয়েছে, পলাশিপাড়ার সাটিখালির বাসিন্দা রীতা বিশ্বাসকে রবিবার সকালে শ্বাসকষ্ট-বমি ইত্যাদি সমস্যার জন্য তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। রীতার দাদা অর্জুন মণ্ডল বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি করার পরে বোন দুপুরে খাবার খেয়েছে বলা হলেও বিকালে গিয়ে দেখি, বমি, রক্তবমির সঙ্গে আরও নানা উপসর্গ বেড়েছে। একাধিক বার হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকের কাছে গিয়ে অনুরোধ করলেও কেউ-ই আসেননি। কর্তব্যরত এক চিকিৎসক উল্টে আমাকে বলেছেন, এক আধটা রোগী মরতেই পারে। যেতে পারব না। চোখের সামনে বোনটা মরে গেল।’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সোমবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *