মেয়ের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের বিবাহ হয়েছিল পিপড়াগাছীর এক যুবকের সঙ্গে। প্রেমের সম্পর্কে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে যুবক ও যুবতী। যদিও এই বিয়ে মেনে নেয়নি মেয়ের পরিবার। এরপর মেয়ের উপর তার স্বামীর অত্যাচার হতেই স্বামীর ঘর ত্যাগ করে নিজের বাপের বাড়িতে চলে আসে মেয়েটি। জানা গিয়েছে, বিয়ের পরেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে।
বর্তমানে মেয়ে বাপের বাড়িতেই থাকে। সোমবার রাত আনুমানিক আটটা নাগাদ ছেলের পরিবার ও কিছু দুষ্কৃতী এসে মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চায়, অভিযোগ এমনই। সেই সময় মেয়ের পরিবারের লোকজন বাধা দিলে মেয়েকে এবং মেয়ের পরিবারের লোকজনকে প্রচণ্ড মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এমনকি ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকেও প্রচণ্ড ভাবে মারধর করা হয় অমানবিক ভাবে, অভিযোগ এমনই। খালবোয়ালিয়ার বাসিন্দারা মারধরের সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয় মানুষজন জড়ো হয়ে অভিযুক্তদের সবাইকে তাড়া করে। তখন সবাই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তিন জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এরপর কৃষ্ণগঞ্জ থানায় খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে ওই তিন জনকে আটক করে নিয়ে আসে কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। আক্রান্তরা কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই বিষয়ে মেয়ের পরিবারের এক সদস্য জানান, “বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরেও ওরা এসে হামলা চালাল।
আমাদের মেয়েকে জোর করে নিয়ে যেতে চাইলে আমরা বাধা দিই। তখন আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সেই সঙ্গে চলে মারধর। ওরা বাইরের ছেলেও নিয়ে এসেছিল। সেই কারণে আমরা বাধা দিলেও কাজ হয়নি”। পুলিশের কাছে ওই পরিবারের শাস্তির দাবি করেছেন মেয়ের বাড়ির লোকজন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।