দেখামাত্রই চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায় মৎস্যজীবী গৌতম বিশ্বাসের। খবর ছড়াতেই বিশাল আকৃতি মাছটিকে দেখার জন্য অসংখ্য মানুষের ভিড় হয়। তবে অনেকেই মাছটি কেনার জন্য আগ্রহী প্রকাশ করে এবং একে একে দামও দেন। এদিকে মৎস্যজীবী গৌতম বিশ্বাসের দাবি, সাড়ে পাঁচশো টাকা কেজি দর হলেই মাছটি তিনি বিক্রি করবেন।
যদিও কুড়ি হাজার টাকা মূল্যের মাছটি এখন শুধু বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে মৎস্যজীবী গৌতম বিশ্বাস। তবে এর আগে ভাগীরথী নদী থেকে বিশাল আকৃতির মাছ ধরা পড়েছে মৎস্যজীবীদের জালে। কিন্তু ৩৫ কেজি ওজনের কাতলা মাছ আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন ভাগীরথী নদীতে মাছ ধরা মৎস্যজীবীরা।
এই বিষয়ে গৌতম বিশ্বাস বলেন, “মৎস্যজীবী হিসেবে আজ থেকে না, সেই বহুকাল থেকেই এই কাজ করছি। কিন্তু কোনোদিন এত বড় কাতলা মাছ জালে ফেঁসে যেতে দেখিনি। আজকেও যখন প্রথমে একটি ১২ কেজির মাছ উঠে এল, তখনও বুঝতে পারিনি যে এরকম একটি ঘটনা ঘটতে পারে। আমার জীবনে এমন ঘটনা প্রথম”।
এবার এই মাছটি কে বা কারা এসে কিনে নিয়ে যান, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন সকলে। এর আগে তিন মাস আগে মালদা জেলার মানিকচক থানার অন্তর্গত মনিহারি এলাকায় গঙ্গায় জাল ফেলতে বিশালাকৃতির বাঘার মাছ উঠে আসে।
আড়ে বহরে তো কম ছিলই না, ওজনও ছিল প্রায় ৯১ কেজি। এই হাত, ওই হাত ঘুরে শেষে নেতাজি পুরবাজার মাছের আড়তে এসে ওঠে মাছটি। এক পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী নগদ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে সেটি কিনে আনেন। মাছটিকে দেখতে উপচে পড়ে ভিড়।