WB Government Schools : স্কুলের সময়কালে শিক্ষকরাও বাইরে নয়, জারি নির্দেশ – in all schools approved by the west bengal board of madhya shiksha teachers and teaching staff are not allowed to go out during working hours


এই সময়: শুধু সরকারি দপ্তরে নয়। গ্রীষ্মের ছুটি মিটলেই পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত সব ধরনের স্কুলেই কাজের সময়ে বাইরে বেরতে পারবেন না স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উপসচিব (শিক্ষা) ঋতব্রত চট্টোপাধ্যায় অর্থ দপ্তরের শনিবারের বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, পর্ষদ স্বীকৃত সমস্ত সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত, পোষিত, নন-গভর্নমেন্ট এডেড, ডিএ গেটিং এবং সাহায্যহীন স্কুলে হাজিরার ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করতে হবে।

Teachers Recruitment : কর্মচ্যুতদের স্কুলে ফিরিয়েও বেতন দিতে চরম টানাপড়েন
এই ধরনের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকরা (ডিআই-মাধ্যমিক) মধ্য শিক্ষা পর্ষদের উপসচিবকে (সাধারণ) রিপোর্ট পাঠাবেন। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের কর্মদক্ষতা ও শৃঙ্খলা বাড়াতেই এই উদ্যোগ বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। অর্থ দপ্তরের নির্দেশিকা হুবহু মানলে গ্রীষ্মের ছুটি পর্ব মিটলেই কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী কাজের দিন বা স্কুলের সময়ে বাইরে বেরোতেই পারবেন না। নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিলেই ছাড়া যাবে স্কুল। সরকারি দপ্তরের মতো এ ক্ষেত্রেও টিফিনের সময়ের অবকাশ কি টিফিনের জন্য বাঁধা থাকবে? এ ব্যাপারে শিক্ষকদের নানা সংগঠন প্রশ্ন তুলেছেন।

Pen Down Strike West Bengal : পেন-ডাউন স্ট্রাইকে আজ সামিল কারা! জারি ধোঁয়াশা
পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘সরকারি দপ্তর আর স্কুল এক নয়। অনেক ফারাক আছে। টিফিনের সময়ে শিক্ষকরা নিজেরাই টিফিন করতে ব্যস্ত থাকলে, মিড ডে মিলের কাজ তদারকি করবে কারা! প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকারি শিক্ষকরা বোঝাপড়া করেই সব কাজ করেন। আটকাবে কে? এ সব আটকাতে নিয়মিত পরিদর্শন জরুরি।’ কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস জানান, সাধারণ পড়ুয়াদের কথা ভেবে এ বার অন্তত স্কুলটা খুলুক! গ্রীষ্মের ছুটি আর কতদিন? তারপর না হয়, শিক্ষকদের হাজিরার নির্দেশিকা নিয়ে ভাবা যাবে।’

Teacher Transfer : শিক্ষক, কর্মীদের বদলির নতুন নীতি স্থগিত কোর্টে
অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেড মিষ্ট্রেসেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির কথায়, ‘গ্রাম বাংলায় এমন বহু স্কুল আছে, যেখানে স্কুলের ভিতর খাবারই থাকে না। দূর-দূরান্ত থেকে যারা আসেন, তাঁরা অনেক সময়ে খাবারও আনতে পারেন না। বাইরে থেকেই খাবার আনতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে ব্যাঙ্কের কাজ-সহ নানা ব্যাপারে মাঝেমধ্যে টিফিনের সময়ে তাঁরা বাইরে যেতে বাধ্য হন।

WBBSE Madhyamik Result : জটিল রোগ দমাতে পারেনি মনের জোর, মাধ্যমিকে চোখ ধাঁধানো ফল বীরভূমের মহাদেবের
আমাদের মনে হয়েছে, এই সার্কুলার জারি করে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হয়েছে।’ শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চর সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী জানান, ‘শিক্ষা দপ্তরের এই অগণতান্ত্রিক ও কালা সার্কুলারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। টিফিনের সময়ে শুধু টিফিন করলে মিড ডে মিল চলবে কী করে? বিদ্যালয়ের অনেক কাজ করতে হয় আমাদের। সেগুলি তাহলে কি আর করব না?’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *