কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তাঁর। মিছিলের নেতৃত্বে রাহুল সিনহা, সজল ঘোষ, পিন্টু পাড়ুই সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। ডিএ সহ সাত দফা দাবি নিয়ে বিজেপির টিচার্স সেলের পক্ষ থেকে বিকাশ ভবন অভিযান। সল্টলেক করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় জমায়েত করে তাঁরা। বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। মিছিল আটকাতে ব্যারিকেট করে দেওয়া হয়।
বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগ অবিলম্বে করতে হবে। এছাড়া, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া সমেত DA প্রদান করতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষকর্মীদের বদলি সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্ক্রিম এ সকল স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সমগ্র দেশের ন্যায় PRT, TGT ও PGT Scale অবিলম্বে চালু করতে হবে। পার্শ্বশিক্ষক ভোকেশনাল MSK, SSK, ICT শিক্ষক এবং শিক্ষা বন্ধুদের কেন্দ্রীয় নীতি মেনে ভাতা/বেতন প্রদান করতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে। এরকম সাত দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে বিজেপি।
এদিনের মিছিল থেকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “নির্লজ্জতার চরমতম নিদর্শন। এটা কোনও রাজনৈতিক মিছিল নয়। রাজনৈতিক ঝান্ডা আছে ঠিকই, কিন্তু এটা আলাদা ধরনের মিছিল।” এভাবে প্রতিবাদ মিছিল আটকানো হলে কালিয়াগঞ্জ এর ঘটনার মতো অবস্থা হবে বলে জানান তিনি।
মূলত, ডিএ আন্দোলন আরও শক্তিশালী করতে বিজেপির ছাতার তলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন বিকাশ ভবন অভিযান করে বিজেপির শিক্ষক সংগঠন। যদিও এর আগে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে দীর্ঘদিন ব্যাপী চলা আন্দোলনকে পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করতে দেখা হয়েছিল বিজেপিকে।