পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৭ দিন পর প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। রেজাল্ট প্রকাশ করলেন উচ্চমাধ্যমিক সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। ফলাফল ঘোষণার সময়ই সংসদ সভাপতি জানান, মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকেও পাশের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর। পাশের হারের নিরিখেও কলকাতার স্থান দশম। গত বছরও উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় কলকাতার ১৩ পড়ুয়া স্থান করে নিলেও এবারে সেই সংখ্যা এসে নেমেছে তিনে।
মেধাতালিকা ২০২২ সালে স্থান পেয়েছিলেন ২৭২ জন পড়ুয়া। এবছর সংখ্যাটা কমে ৮৭। উচ্চমাধ্যমিকে জেলার নিরিখে এবছর সব থেকে বেশি হুগলির থেকে সবথেকে বেশি কৃতী পড়ুয়া মেরিট লিস্টে রয়েছে। এরপরেই স্থান উত্তর ২৪ পরগনার। সেখান থেকে ১২ জন পড়ুয়া রয়েছে মেধাতালিকায়।
এবছর মাধ্যমিকেও জেলার সাফল্যের পাশে কলকাতার অবস্থা ছিল তথৈবচ। মেধাতালিকার ১১৮ জন পড়ুয়ার মধ্যে স্থান করে নিতে পারেনি কলকাতার কোনও পড়ুয়াই। তবে চলতি বছরের মাধ্যমিকে পাশের হারের নিরিখে কলকাতার স্থান ছিল চতুর্থ।
উল্লেখ্য, এবছর যারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা ২০২০ সালে করোনা প্রকোপের কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারেননি। লকডাউনের কারণে অসমাপ্তই ছিল তাদের পরীক্ষা। সেই দিক দিয়ে দেখলে এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য এটাই ছিল জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা।
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯৬ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রাংশু সর্দার। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.২ শতাংশ। বাংলায় পেয়েছেন ৯০, ইংরেজিতে ৯৮, অর্থনীতি, অঙ্ক ও স্ট্যাট তিন বিষয়েই শুভ্রাংশু পেয়েছেন ১০০।
যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের সুষমা পাল এবং উত্তর দিনাজপুরের রামকৃষ্ণপুর প্রমোদ দাশগুপ্ত মেমোরিয়াল হাইস্কুলের আবু সামা। তাঁরা পেয়েছেন ৪৯৫। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশের হার ৯৯ %।
চলতি বছরে ১৪ মার্চ শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হয় ২৭ মার্চ। আজ অর্থাৎ ২৪ মে হল ফলপ্রকাশ। মার্কশিট মিলবে সেই ৩১ মে।