নিজেদের এলাকায় নেশা মুক্ত সমাজ গড়তে এই অভিনব উদ্যোগ নিলেন ডিএসএ ক্লাবের এই দুই সদস্য। লাদাখ যেতে গিয়ে যতগুলো রাজ্য পড়বে, প্রত্যেক রাজ্যের মানুষের কাছে তাঁরা নেশামুক্ত সমাজ গড়ার কথা তুলে ধরবেন। পাশাপাশি সকলের কাছে সমাজ সচেতনতা মূলক বার্তাও ছড়িয়ে দেবেন তাঁরা।
বিতান গোস্বামী এবং অর্ণব দাস জানান, “আমরা দুবরাজপুর থেকে লাদাখের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য নেশা মুক্ত সমাজ গড়া। যাঁরা মোবাইল গেম ও ড্রাগের নেশায় আসক্ত তাঁদেরকে বলব এই সব নেশা ছেড়ে ভ্রমণের নেশা করুন। তাহলে শরীর ও মন ভালো থাকবে”।
মোটরবাইক চালানোই যাদের শখ, তাঁর আবার দুর্গম পথ কী! তাই লাদাখে গিয়ে কিরকম প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে, সেই নিয়ে ভাবছেন না বিতান। তিনি জানান, “আমরা সবাই এই বিষয়ে অবগত যে লাদাখের আবহাওয়া কিরকম, বা বাইক চালাতে গিয়ে ওখানে কিরকম প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়।
সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছি। কিন্তু ড্রাগের নেশায় যদি একজন যুবক বা যুবতী যদি বুঁদ হয়ে অন্ধকার জীবনের দিকে পা বাড়ান, তাহলে সেটার থেকে খারাপ কিছুই আর হয়না। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে পাহাড়ি রাস্তায় বাইক চালানো কিছুই নয়”। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাইক কেনার সামর্থ্য না থাকায় হুগলির সিঙ্গুরের বাসিন্দা মিলন মাঝি পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছিলেন লাদাখ।
অবশেষে দীর্ঘ যাত্রার শেষে হয় স্বপ্ন পূরণ। গত বছরের ১৫ই মে লাদাখের খারদুং লা-য় পৌঁছে যান তিনি। প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে লাদাখের ১৮,৩৮০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত খারদুং লা জয় করে পাহাড়ের বুকে পুঁতে দেন জাতীয় পতাকা। বিজয় ধ্বজা উড়িয়েই মিলনের চোখ বেয়ে নেমে আসে আনন্দাশ্রু।