Dilip Ghosh : ‘ঘরে ফেরে নাই’ লড়াকু কর্মীরা, উৎকণ্ঠা দিলীপের – dilip ghosh expressed his anxiety saying that there will be problems if bjp does not get those fighting workers ahead of the panchayat polls


এই সময়: আজও ঘরে ফেরেননি তাঁদের অনেকে। ভিন রাজ্যে তাঁরা নিজেদের নতুন জীবন শুরু করেছেন বছর দুয়েক আগে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিজেপির সেই লড়াকু কর্মীদের না-পেলে সমস্যা হবে বলে জানিয়ে দলের রাজ্য কমিটির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দিলীপ ঘোষ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন এমনটাই গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি হওয়া ওই বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি সাফ জানিয়েছেন, ২০২১-এর বিধানসভা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের পর ভিন রাজ্যে চলে যাওয়া দলের ওই লড়াকু কর্মীদের বাংলায় দ্রুত ফেরাতে না-পারলে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি হালে পানি পাবে না।

Abhishek Banerjee : অভিষেকের পথেই পঞ্চায়েতে পথ হাঁটবে বিজেপি
২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে যে বিজেপি কর্মীরা বুথে বুথে লড়াই দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই বিধানসভা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের জেরে এলাকা ছাড়া বলে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার, ২১ মে আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রেক্ষাগৃহে বিজেপির রাজ্য কার্যকরণী বৈঠকে দিলীপ বলেছেন, ‘পুরোনো লড়াকু কর্মীরা অনেকেই ঘরছাড়া।

BJP Bengal : কর্নাটকে হারের প্রভাব বঙ্গ বিজেপির অন্দরে, ডানা ছাঁটা হবে বিএল সন্তোষ-ঘনিষ্ঠদের?
তাঁদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। তাঁদের সবাইকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ওই লড়াকু কর্মীরা মাঠে না-নামলে পঞ্চায়েতে ভালো ফল করা যাবে না। পুরোনো কর্মীদের যে ভাবে হোক, সক্রিয় করে তুলতে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে।’ দিলীপের বক্তব্য, ‘জেলায় জেলায় ঘুরছি। সংগঠনের অবস্থা ভালো নয়। পুরোনো কর্মীরা অনেকে ঘরছাড়া, অনেকে বসে গিয়েছেন। অনেককে আবার দলই গুরুত্ব দিচ্ছে না। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তবে সবার আগে, এখনও যে কর্মীরা ঘরছাড়া, তাঁদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’

২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে গোটা রাজ্যে পাঁচ হাজারের বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। নিচু তলার দলীয় কর্মীদের লড়াইকে তারিফ করেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর সেই ‘লড়াকু’ কর্মীরাই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বলে অভিযোগ।

Bengal BJP : বুথে সংগঠন নেই, তাই পদ্মের অস্ত্র সিবিআই?
দলই তাঁদের একাংশকে ত্রিপুরা, অসম, গুজরাটের মতো বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু তার পর প্রায় দু’বছর পেরিয়ে গেলেও বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদের খবর সে ভাবে রাখেননি বলে দলীয় সূত্রের খবর। ভিন রাজ্যে তাঁদের অনেকেই নতুন কাজ খুঁজে নিয়ে গুছিয়ে থাকতে শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ উদ্বেগ প্রকাশ করার পরেই দলের রাজ্য কার্যকরণী বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল পুরোনো কর্মীদের সক্রিয় করে তুলতে জেলা সভাপতিদের নির্দেশ দেন। এখনও দলের কত জন কর্মী ঘরছাড়া, তার তালিকাও বনসল তৈরি করতে বলেছেন।

Narendra Modi : মোদীর কাজের ঢাক পেটাতে পৃথক কমিটি, মাথায় হাত বঙ্গ-বিজেপির
যদিও এই ব্যাপারে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলছেন, ‘ঘরছাড়া নয়, দলছাড়া। বিজেপির সংগঠন নেই। প্রতিদিন ওদের কর্মী কমছে। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ওঁরা সন্ত্রাসের কথা বলছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *