ওডিশার কটকে একটি নার্সিংহোমে খোঁজ মেলে ভানুর। আহত অবস্থায় ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিল ভানু ও তার ছেলে ও ভাইপো। তিনজনকেই গ্রেফতার করে সাদা পোশাকের পুলিশ। ঘটনার পর থেকে টানা দুদিন ভানুর তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। গত ১৬ই মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় খাদিকুল গ্রামে একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়।
ওই বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে দেহ। জানা যায়, ওই কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ভানু বাগ। এগরা বিস্ফোরণ মামলায় ভানু, তাঁর পুত্র ও ভাইপো— তিন জনকে মূল অভিযুক্ত হিসাবে রেখে মামলা দায়ের হয়েছিল।
ভানুর মৃত্যু হওয়ায় বর্তমানে এই মামলার মূল অভিযুক্ত তাঁর ছেলে ও ভাইপো। ভাইপো ও ছেলেকে ইতিমধ্যে ৮ দিনের CID হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এবার হেফাজতে নেওয়া হল তাঁর মা কেও। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেদিন বিস্ফোরণের ঘটনার পর রাত ২টো নাগাদ ভানুকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর আত্মীয়েরা।
সেই সময় তাঁর মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীর দগ্ধ ছিল। শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। ভানুর আত্মীয়েরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান, তাঁদের বাড়ি ওডিশার বালেশ্বরে। এর পর হাসপাতালে ভানুর চিকিৎসা শুরু হয়।
তাঁর সারা শরীর কলাপাতায় মুড়ে হাসপাতালে রাখা ছিল। এগরা বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল ১৬ই মে থেকেই। তারপরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়। এরই মধ্যে আবার বজবজ এলাকায় বিস্ফোরণ হয় আরেকটি বাজি কারখানায়। সেখানেও মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের।