একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার এই মেনুতে সরু চালের ভাত থেকে তোপসে ফ্রাই, সরষে বাটা থেকে চিংড়ি মাছের মালাইকারি, বাসন্তি পোলাও থেকে মটন কোরমা, মিষ্টি দই থেকে রসগোল্লা এমনকি সঙ্গে হিমসাগর ও বেনারসি পানের ব্যবস্থাও থাকছে। শুধু অর্ডার দিয়ে রেস্তোঁরার টেবিল বুক নয় মানুষের চাহিদার কথা মেনে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে বাড়িতেও হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা রেখেছে রেস্তোঁরা কর্তৃপক্ষ।
তবে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার পেতে আগে থেকেই বুকিং করা প্রয়োজন। জামাইষষ্ঠীর স্পেশাল মেনু সম্পর্কে উলুবেড়িয়ার একটি নামী রেস্তোঁরার কর্নধার গৌতম বোস জানান, “কলকাতার মতো গত কয়েক বছরে উলুবেড়িয়াতেও এই ধরনের মেনুর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর সাধারন মানুষের চাহিদার কথা থাকায় আমরাও আমাদের রেস্তোঁরায় বছরের কয়েকটি বিশেষ দিনে স্পেশাল মেনুর আয়োজন করেছি এবং যথেষ্ট ভালো সাড়া পেয়েছি”। তিনি জানান, “আমাদের ৯৯৯ টাকার মেনুতে লস্যি থেকে সরু চালের ভাত, গাওয়া ঘি, লেবু থেকে শুক্তো, আলুভাজা, সবজি, তোপসে ফ্রাই, ডান চিংড়ি, মটন কোরমা সহ ১৮ রকমের আইটেম থাকছে”।
অন্যদিকে, উলুবেড়িয়ার আরও একটি নামী রেস্তোঁরার কর্নধার দীপক দাস জানান, “৮৪৯ টাকার মেনুতে একাধিক পদ থাকছে”। তবে দুটি রেস্তোরাতেই টেবিল বুকিং এর পাশাপাশি হোম ডেলিভারীর ব্যবস্থা থাকছে। অন্যদিকে রেস্তোঁরায় এই ব্যবস্থায় খুশি শ্বশুর শাশুড়িরা।
তাঁদের মতে জামাইষষ্ঠীর দিনে জামাইকে আপ্যায়ন করতে বাজারে গিয়ে টাকা দিলেও সবসময় মনের মতো জিনিস পাওয়া যায়না। এক্ষেত্রে ঝামেলা ঝক্কি এড়িয়ে নিজেদের পচ্ছন্দের মতো পদ জামাইকে খাইয়ে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা এক মহিলা জানান, “বাড়িতে আমরা দুজন একা বৃদ্ধ বৃদ্ধা থাকি। এই বয়সে মাছ মাংসের দোকানে ভিড়ে লাইন দেওয়া খুব কষ্টের। তাই বছরের এই সময়টা জামাইকে রেস্তোরাঁতে নিয়ে যাই। শহরের রেস্তোরাঁগুলি আমাদের অনেক সুবিধে করে দিয়েছে”।