প্রথমে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেলার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এরপর বিকালে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় প্রস্তাবিত বাজি কারখানার ক্লাস্টারের ব্যাপারে তৈরি কমিটির প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। দুটি বৈঠকেই নবান্নের নির্দেশ, রাজ্যে কড়া হাতে বেআইনি বাজির রমরমা রুখতেই হবে।
সেই সূত্রে মালব্য বিভিন্ন জেলার এসপি ও কমিশনারেটের প্রধানদের সাফ নির্দেশ দিয়েছেন, বেআইনি বাজি রুখতে অবিরত অভিযান চলবে। শুধু থানাস্তরের অফিসারদের উপর নির্ভর না করে এসপিদেরও মাঠে নেমে দেখতে হবে, কোথায় বেআইনি বাজির কারখানা রয়েছে বা কোন বেআইনি বাজি লুকিয়ে মজুত করে রাখা হয়েছে। বেআইনি বাজির কারখানাগুলির তালিকা নবান্নেও পাঠাতে হবে।
মঙ্গলবার রাজ্যের অন্যতম বড় বাজি বাজার বলে পরিচিত চম্পাহাটি-হাড়াল এলাকায় আগামী দু’মাস বাজি তৈরি, মজুত ও বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশ। সোমবার থেকেই চম্পাহাটি-হাড়াল আতসবাজি অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে গিয়ে সেই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস ও আইসি সৌমজিৎ রায়। মূলত চম্পাহাটি, বেগমপুর ও সাউথ গড়িয়া–এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। প্রশাসনিক নির্দেশের পর সোমবার থেকে পুরোপুরি চম্পাহাটি-হাড়ালে প্রায় দেড়শোটি বাজির দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, সোমবার রাতে হাওড়ার নিশ্চিন্দার এক বাজি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ কেজি অবৈধ বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাওড়া গ্রামীণের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ১৮৩ কেজি শব্দবাজি ও শব্দবাজির মশলা উদ্ধার হয়। বেআইনি আতস বাজির কারখানা থেকে প্রায় ৯০০ কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করে হুগলি গ্রামীণের চণ্ডীতলা থানার পুলিশ।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০০ কেজি বাজি। গত সপ্তাহে পূর্ব মেদিনীপুরে এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। এদিন এগরা বাজার, তমলুক-পাঁশকুড়া-ময়না বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর বাজি উদ্ধারের পাশাপাশি ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কালীনগর এলাকায় এক ব্যবসায়ীর গোডাউনে হানা দিয়ে প্রায় ২৫০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।