উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল হবে, তা নিয়ে আগে থেকে প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু গোটা রাজ্যে দ্বিতীয় হওয়াটা সুষমার কাছে খুব বেশি প্রত্যাশিত ছিল না না। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন সুষমা বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। এত ভালো রেজাল্ট হবে বলে আশা করিনি। মন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলাম এটা ঠিক। ছোটবেলার স্কুল থেকে শুরু করে এখনও অবধি যে সব শিক্ষিক-শিক্ষিকারা আমাকে পড়িয়েছেন তাঁদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমাকে টিউশনের স্যররাও অনেক সাহায্য করেছেন।’
উচ্চমাধ্যমিকের ফলে সকলকে তাক লাগিয়ে দেওয়া বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের এই পড়ুয়া বলেন, ‘খুবই খুশি হয়েছি এই ফলাফলে। কোভিডের কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারিনি সেই আফশোস ছিল। সবাই আমাকে খুবই সাহায্য করেছে। মা, বাবা আর আমার দিদি সবরকমভাবে আমাকে সাহায্য করেছে। প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য আমার একজন করে শিক্ষক ছিলেন।’
ভবিষ্যতে কোন পথে নিজের গড়তে চায় সুষমা?
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সে বলেন, ‘আমি আগামী দিনে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। ভূগোলের পাশাপাশি অঙ্ক করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমার এই সাফল্যে সব থেকে বড় অবদান আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এছাড়াও বাবা-মা সবরকমভাবে আমার পাশে থেকেছেন। এরপর আমাকে অনেকগুলি পরীক্ষা দিতে হবে ও তাতে সফল হতে হবে। তাই এই বিশেষ দিনটি উদযাপনের সেরকম কোনও পরিকল্পনা নেই।’ সুষমা জানিয়েছেন পড়াশোনা ছাড়াও ছোটোবেলা থেকে সে রবীন্দ্র গানের তালিম নিয়েছে। এর পাশাপাশি ডায়েরি লেখা তাঁর রোজকার অভ্যেস। সকলের অনুরোধে এদিন ‘হে নূতন, দেখা দিক…’ গেয়েও শোনায় সুষমা।
পরীক্ষা শেষের ৫৭ দিনের মাথায় এবার প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৯.২৫ শতাংশ এবারের পরীক্ষায় পাশ করেছে। মাধ্যমিকের মতো পাশের হারের নিরিখে প্রথম হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এই জেলার মোট পরীক্ষার্থীর ৯৫.৭৫ শতাংশ পাশ করেছে। অন্যদিকে পাশের হারের নিরিখে দশম স্থানে রয়েছে কলকাতা।