আপাতত গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা প্রথম টার্গেট। তারপর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে আছে শ্রীতমার। পড়াশোনার বাইরে শ্রীতমা গল্পের বই পড়তে এবং গান শুনতে ভালোবাসে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েছে ঠিকই তবে তার জন্য খুব যে চাপ নিয়েছে শ্রীতমা তেমনটা নয়। খুব চাপ নিতে শ্রীতমা পছন্দ করে না।
মেয়ের এই রেজাল্টে খুবই খুশি বাবা মা। মেয়ে আগামিদিনে যে দিকে যেতে চায় বাবা মা’র তরফ থেকে পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলে জানান তাঁরা। শ্রীতমার বাবা পেশায় শিক্ষক রমেশ মিস্ত্রি ও মা গৃহবধূ অপর্ণা মিস্ত্রি। দত্তপুকুর সুভাষপল্লী এলাকার বাসিন্দা শ্রীতমা মিস্ত্রি, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অষ্টম স্থান অর্জন করে এলাকার নাম উজ্জ্বল করেছে।
এই বিষয়ে শ্রীতমার বাবা জানান, “আমার মেয়ের পড়াশোনার কোনও বাঁধাধরা সময় ছিল না। যখন সময় পেত, তখনই পড়াশোনা করত সে। তবে যেটুকু সময় পড়ত, খুবই মনোযোগ সহকারে পড়ত। আর মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার আশা করেছিল আমার মেয়ে। সেটা করতে পেরে সে খুবই খুশি হয়েছে”।
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, “আমাদের মেয়ে ভবিষ্যতে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিতে চায়। দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়। শ্রীতমা জীবনে যেটাই করতে চাক, বা যাই পড়তে চাক, আমাদের সমর্থন তাঁর দিকে থাকবে”। এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিলেন ৮ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী।
তার মধ্যে সিংহভাগই পেলেন মাঝারি নম্বর। এবার উচ্চমাধ্যমিকেও মধ্য মেধার দাপট দেখা গিয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রকাশিত মেধা তালিকা অনুযায়ী, প্রথম দশে রয়েছেন ৮৭ জন পড়ুয়া। সব থেকে বেশি পড়ুয়া রয়েছে হুগলির ১৮জন।