তাঁর মোট নম্বরের শতাংশ হল ৯৯.৯৯। এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রত্যুষার বক্তব্য, “আমি কলা বিভাগের ছাত্রী। ভেবেছিলাম স্কুলের মধ্যে একটা ভালো জায়গায় থাকতে পারি। পরীক্ষা দিয়ে সেটাই মনে হয়েছিল। কিন্তু তাই বলে রাজ্যের মধ্যে নবম স্থান, এটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য।
আমি ভাবতেই পারছি না। এতটাই খুশি আমি যে কি বলব বুঝতে উঠতে পারছি না”। প্রত্যুষা আরও জানায়, “আজ ১২টা নাগাদ যখন ফল প্রকাশ করা হচ্ছিল, তখন আমি নেটে আমার রেজাল্ট দেখার চেষ্টা করছিলাম। সেই সময়েই স্কুলের একজন শিক্ষিকার ফোন আসে, এবং উনি আমাকে জানান যে আমি নবম স্থান পেয়েছি।
আমার এই ফলাফলের পিছনে আমার স্কুলের শিক্ষিকাদের, আমার মা বাবা’র অনেক অবদান রয়েছে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ জানাই”। এবারে প্রত্যুষার লক্ষ্য, একটি ভালো বিষয় নিয়ে স্নাতকস্তরে পড়াশোনা করা। ভবিষ্যতে তাঁর লক্ষ্য একজন ভালো শিক্ষিকা হওয়া। এই বিষয়ে সে জানায়, “আমার বাবা একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক।
আমার ঠাকুরদা একজন শিক্ষক ছিলেন। সেই কারণে পরে গিয়ে আমি এই পেশাটিকেই বেছে নিতে চাই”। এই ফলাফলে ভীষণ খুশি প্রত্যুষার পরিবারের সদস্যরাও। প্রত্যুষার মা সাংবাদিকদের জানান, “ভালো ফলের আশা করলেও এতটা ভালো হবে সেই আশা করিনি। প্রত্যুষা যে দিনরাত বাড়িতে পড়াশোনা করত বা ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ধরে পড়ত এমনটাও নয়। দিনে ৩ ঘণ্টা মতো পড়াশোনা করত সে।
আমরা মনেপ্রাণে চাই প্রত্যুষা আরও সফল হয়ে উঠুক, ভবিষ্যতে যেটা নিয়ে আমাদের মেয়ে পড়তে চায়, সেটা নিয়েই পড়বে। আর সব থেকে বড় কথা, একজন ভালো মানুষ হোক আমাদের প্রত্যুষা”। ভালো ফলাফলের পর এবার স্কুলের বন্ধু ও শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছে প্রত্যুষা।