গোটা বিষয় নিয়ে স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সৈয়দ মমিনুর রহমান বলেন, ‘এমন ফল জেলা শিক্ষা দফতরকে সত্যিই আশাহত করেছে। কেন এমন ফল তা পর্যালোচনা করার জন্য দুদিনের মধ্যেই বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকের ভাবনা চিন্তা করছে স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রয়োজনে গ্রাউন্ড জিরোতে নেমে খতিয়ে দেখা হবে এমন ফলের কারণ।’
ফল যে যথেষ্টই খারাপ হয়েছে তা মেনে নিচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরাও। পিংলা জলচক নাটেশ্বরী নেতাজী বিদ্যায়তনের প্রধান শিক্ষক তরুণ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এবারের ফল নিয়ে যথেষ্টই আশাবাদী ছিল স্কুল। পরীক্ষার বহু আগে থেকে যথেষ্ট পরিমাণে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল স্কুলের তরফে। ছাত্রদের বাড়তি টিউশনরেও ব্যবস্থা করা হয়েছিল স্কুলের তরফে। তবে সেখানে এবার সর্বোচ্চ ৬৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ছাত্ররা। কেন এমন ফল তা খতিয়ে দেখা হবে স্কুলের তরফে। এই ফল নিয়ে গোটা জেলা জুড়ে পর্যালোচনা করা উচিত।’
জেলার উচ্চমাধ্যমিকের ফল নিয়ে যথেষ্ট হতাশ মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক অরূপ ভুঁইয়াও। তিনি বলেন, ‘সার্বিকভাবে কেন এমন ফল হলো তা খতিয়ে দেখতে পড়ুয়া ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলা উচিত।’
জেলার এমন ফলের পিছনে পড়াশোনার পরিবেশ ও পরিকাঠামোকে দায়ী করছেন বিজেপির শিক্ষক নেতা শংকর গুচ্ছাইত। তার দাবি, ‘বিদ্যালয় গুলিতে পঠন পাঠনের পরিবেশ দিন দিন তলানিতে ঠেকছে। কোথাও পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই শিক্ষক। কোথাও আবার পড়াশোনার জন্য পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। সমস্ত বিষয় নিয়ে আরো সচেতন হওয়া উচিত শিক্ষা দফতরের।’