বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, অতিরিক্ত টাকা দাবি করলে তা নিয়ে রোগী-পরিজন কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারেন। কমিশন তার শুনানি করবে। লিখিত অভিযোগ জানালে পুলিশকেও দায়ের করতে হবে এফআইআর।
ইদানিং অ্যাম্বুল্যান্সের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা কালেও একই রকম ভাবে অ্যাম্বুল্যান্স দৌরাত্ম্য বেড়েছিল বলে সে সময়ে একটি অ্যাডভাইজ়রি প্রকাশ করে রেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এদিন চেয়ারম্যান জানান, সেই রেট লঙ্ঘিত হলে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন যে কেউ।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব ও বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম ও কমিশনের সচিব আরশাদ হাসান ওয়ারশি। রেট বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে অ্যাম্বুল্যান্সের দৌরাত্ম পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করার উদ্দেশ্যে কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা হচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান।
নন্দনে আয়োজিত এই বৈঠকে আরও দু’টি বিষয় স্থির হয়। বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ ও হুগলি- এই তিন জেলায় অচিরেই প্রসূতি মৃত্যু ঠেকানো নিয়ে সচেতনতা শিবির আয়োজন করবে কমিশন। পাশাপাশি ক্রিটিক্যাল কেয়ারে চিকিৎসাধীন সঙ্কটজনক রোগীদের কী ভাবে রোগীবান্ধব পরিষেবা কতটা কম খরচে দেওয়া যায়, তা নিয়ে আগামী দিনে প্রস্তাব আকারে একটি গাইডলাইন তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দেবে কমিশন।