পুলিশ সূত্রে খবর, দুটি ড্রামে আনুমানিক ৩০ টি তাজা বোমা রয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আজ সকালে গ্রামের কিছু বাসিন্দা মিলে যখন ওই দিকটায় গিয়েছিলাম, সেই সময় দেখি দুটি ড্রাম রাখা রয়েছে। ড্রামের ভিতরে উঁকি মারতেই দেখি বোমা। আমরা ভয়ে সেখান থেকে পালাই।
তারপরেই গ্রাম থেকে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। আমাদের মনে হচ্ছে কেউ বা কারা গভীর রাতে এসে এগুলি এখানে রেখে দিয়ে গিয়েছে। কারণ কালকেও এই বোমাগুলি এখানে ছিল না। এবার আমাদের আতঙ্ক লাগছে গ্রামে থাকতেও”। অন্যদিকে, জেলার লোকপুর থানার বারাবন জঙ্গলে বোমা মজুতের খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ।
সেখান থেকেও উদ্ধার হয় প্রায় ২২ টি তাজা বোমা। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে। সোমবার দুবরাজপুরের পদুমা পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া গ্রামে তৃণমূল কর্মী শেখ শফিকের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বাড়ির সিঁড়ির ঘর উড়ে যায়। তবে ভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত হননি। বিস্ফোরণের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গ্রামে। বাসিন্দারা বলছেন, বোমা গুলি এসব তো নিত্যদিনের ঘটনা।
ছোটখাট ঘটনা দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। এদিকে জেলার একাধিক জায়গায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিগত কয়েকমাসে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে একের পর এক তাজা বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র। সেই সঙ্গে ঘটেছে বিস্ফোরণও।
এদিকে একের পর এক জায়গায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র আক্রমণ করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। বিরোধীরা বলছেন, বীরভূম বোমা তৈরির আঁতুড়ঘর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে এখন পুলিশ প্রশাসনের কাছে একটাই চ্যালেঞ্জ। পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা।