এই সীমান্ত দিয়েই বাংলাদেশে বেশিরভাগ গোরু পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগে গোরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট বা প্রসিকিউশন কমপ্লেন্ট জমা দিয়েছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, সেখানেও শুল্ক বিভাগের অফিসারদের একাংশের যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মূলত মুর্শিদাবাদে শুল্ক বিভাগের চারটি অফিসের কর্মী-অফিসারদের একাংশের মদতেই গোরু পাচারের কারবার চলত বলে দাবি করা হয়েছে ইডির তরফে। আর সিবিআই এই মামলায় আগেই শুল্ক বিভাগের কয়েকটি অফিস এবং কয়েকজন আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে।
কীভাবে কোন রুটে পাচার হতো গোরু, কীভাবে চলত এই চোরা কারবার, তার জন্য কে বা কারা টাকা বা প্রোটেকশন মানি দিতেন–তাই মূলত শুল্ক বিভাগের এই আধিকারিকদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে।
সিবিআই সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের লালগোলা, ডোমকল, জঙ্গিপুরের পাশাপাশি ঔরঙ্গাবাদের কাস্টমস অফিসের কর্মী-অফিসারদের একাংশ গোরু পাচারের ক্ষেত্রে মদত দিতেন পাচারকারীদের। এর পাশাপাশি ইলামবাজার, পাইকর, সাগরদিঘি-সহ বিভিন্ন পশুহাট থেকে কেনা হতো গোরু। বীরভূম, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের পশুহাট থেকেও গোরু কিনতেন পাচার মামলার অন্যতম চক্রী এনামুল হক এবং তাঁর দলবল।
বীরভূমের ইলামবাজারের পশুহাট থেকে গোরু কেনার দায়িত্ব ছিল আব্দুল লতিফ ওরফে হিঙ্গলের উপর। বীরভূম থেকে লরিতে করে গোরু পাঠানো হতো মুর্শিদাবাদের ওমরপুরের একটি অফিসে। সেই অফিসটির মালিকও এনামুল হক। এনামুলের তিন ভাগ্নে মুর্শিদাবাদের জেএইচএম ব্রাদার্সের মদতে সীমান্ত পার করে গোরু বাংলাদেশে পাঠানো হতো। যদিও এই জেএইচএম ব্রাদার্স এখনও অধরা।