Howrah Bridge : হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্যপরীক্ষায় আইআইটি চেন্নাইও – iit chennai is finalizing the current condition of the howrah bridge


এই সময়: হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট, কলকাতা। তার আগে ব্রিজের বর্তমান হাল কেমন এবং বিশদে কী কী পরীক্ষা করা প্রয়োজন তা আইআইটি চেন্নাই চূড়ান্ত করছে বলে বুধবার জানিয়েছেন এসএমপি পোর্ট, কলকাতার চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করা হবে না। পাশাপাশি, বর্ষার পরে হাওড়া ব্রিজের সৌন্দর্যায়নে রং করা হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

Howrah Bridge : প্রায় মাসজুড়ে রাতে মেরামতির কাজ হাওড়া ব্রিজে, যানজট এড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ
এদিন রথেন্দ্র বলেন, ‘হাওড়া ব্রিজের বর্তমান অবস্থা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোন কোন বিষয়গুলি বিশদে দেখা হবে, সেগুলি চূড়ান্ত করছে আইআইটি চেন্নাই। চূড়ান্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজের জন্য উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগের টেন্ডার ডাকা হবে। আইআইটি চেন্নাইয়ের মাধ্যমে উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগ হবে।’ তিনি জানান, এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি নিয়মিত ব্যাপার। ব্রিজের স্থায়িত্ব আরও বাড়াতে কয়েক বছর অন্তর এটা করা হয়ে থাকে। শেষবার হাওড়া ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিল রাইটস্‌। গত ২০০৪ সালে সেই কাজ শেষ হয়েছিল।

Howrah Puri Vande Bharat : ওডিশায় দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত, সোমবার ট্রেন বাতিলের ঘোষণা
খিদিরপুর ডক এলাকায় যে বাস্কিউল ব্রিজ রয়েছে, গত কয়েক বছরে তা মাঝেমধ্যেই খারাপ হয়ে গিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে বন্দর এলাকায়। তবে সেখানে কোনও নতুন ব্রিজ তৈরি করা হবে না বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসএমপি পোর্ট, কলকাতার চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাস্কিউল ব্রিজ নতুন করে তৈরি করতে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে। সেখানে পুরোনো ব্রিজের সারাই ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হবে ৭১ কোটি টাকা। আমরা তাই নতুন ব্রিজ তৈরি করার বদলে বর্তমানে থাকা ব্রিজটির সারাই ও রক্ষণাবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শীঘ্র এজন্য টেন্ডার দেওয়া হবে।’

New Town Kolkata: গতি বাড়ছে শহরের, শীঘ্রই উদ্বোধন সেক্টর ফাইভ থেকে নিউটাউন ফ্লাইওভারের
কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে যান চলাচলের জন্য কলকাতা বন্দর এলাকায় হুগলি নদীর তলা দিয়ে একটি টানেল গড়ার পরিকল্পনা করেছে এসএমপি, কলকাতা। ওই টানেল নির্মাণ আর্থিক ভাবে লাভজনক কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কলকাতা বন্দরের হাতে হুগলি নদীর দু’পাড়ে বিপুল অব্যবহৃত জমি রয়েছে। সেই জমির বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করার জন্য শীঘ্র একটি উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন এসএমপি, কলকাতার ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *