এখানেই শেষ নয়, ষষ্ঠী উপলক্ষে আজ আমন্ত্রন জানান হয়ছিল এক সময়ে হোমের পক্ষ থেকে বিয়ে দিয়ে বিদায় জানান মেয়েদেরও। কর্তৃপক্ষের তরফে জানান হয়েছে, প্রতিবছর ছোটো করে এই আয়োজন করা হলেও এবার হোমের ভেতরে পুজো করে বড় আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
একদিকে, হোমের আবাসিক মেয়েরা রয়েছে। পাশাপাশি, বিয়ে হয়ে চলে যাওয়া মেয়েদেরও আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। আজ খাবারের মেনুর পরিবর্তন তো আছেই। সব মিলিয়ে অন্যান্য দিনের থেকে আজ হোম কর্তৃপক্ষের ব্যস্ততা একটু বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। উৎসবের মেজাজে মেতে ছিলেন সকলেই।
দুপুরে দুটো নাগাদ উলু এবং শঙ্খ ধ্বনি শোনা গেল অনুভব হোম থেকে। এর পরেই একেবারে নিজের মায়ের মতো হোমের মেয়েদের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করতে দেখা গেল জলপাইগুড়ি মহিলা কল্যাণ সংঘের সম্পাদিকা সুচিত্রা সেনগুপ্ত এবং হোম সুপার ডালিয়া মিত্রকে।
মেয়েদের মাথায় ধান দূর্বা তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে হাতে ষষ্ঠীর সুঁতো বেঁধে দেওয়া সবই তাদের করতে দেখা গেল। কিন্তু এই উদ্যোগের কারণ কি? এই প্রশ্নের উত্তরে সুচিত্রা সেনগুপ্ত বলেন, “আমারা বাড়ির মেয়ের মঙ্গল কামনায় মায়েরা ষষ্ঠী পুজো করে থাকি। তাহলে হোমের মেয়েরাও তো আমাদের সন্তানের মতো। তাহলে তাঁরা বঞ্চিত থাকবে কেন? যে কারণেই এই আয়োজন।”
সারা বাংলা জুড়ে জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে আজ জামাই ষষ্ঠী পালন করা হয়। প্রত্যেক মেয়েরাই তাঁদের স্বামীর সঙ্গে নিজের বাবার বাড়ি যান জামাই ষষ্ঠী অনুষ্ঠানের জন্য। নিয়ম মেনে পালন করা হয় এই শুভ অনুষ্ঠানের। প্রত্যেক মেয়ের জীবনেই স্বাদ থাকে এই শুভ অনুষ্ঠান পালনের জন্য।
আবাসিকের মেয়েদের ক্ষেত্রেও এই স্বাদ পূরণ হওয়ায় খুশি সকলেই। হোমের তরফ থেকে তাঁদের জামাই ষষ্ঠী আয়োজন করায় তাঁদেরও স্বাদ পূরণ হল বলে মনে করছেন তাঁরা। আবাসিকের তরফে তাঁদের নিজেদের সন্তানদের মতোই বড় করে তোলা হয়েছে। বিয়ের পরেও সেই কথা মথায় রেখেই এই আয়োজনে খুশি প্রত্যেকেই।