প্রণবের দাবী, এই সমস্ত জিনিস তাঁর শ্যালক ব্যাপাদিত্য নাথের । সে গাড়ি ভর্তি করে পেটিতে ভরে এই বিপুল পরিমাণ বাজি পাঠিয়েছে তার কাছে রাখার জন্য। অভিযুক্ত জানিয়েছে, চণ্ডীতলা বেগমপুর এলাকায় প্রণব দত্তর শ্যালক ব্যাপাদিত্য নাথের একটি বাজি তৈরির কারখানা রয়েছে। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার সকালেই গাড়ি করে বাজি নিয়ে আসা হয় চুঁচুড়া কাপাসডাঙ্গায়।
সম্প্রতি এগরা, বজবজ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার পর একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ এবং চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকেও শুরু হয় অভিযান। ইতিমধ্যেই হুগলি থেকে উদ্ধার হয়েছে এক হাজার কেজি বেআইনি বাজি।সম্প্রতি চুঁচুড়া কামারপাড়া এলাকা থেকে বাজি উদ্ধার করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ গ্রেফতার হয় একজন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় ১২ জনের। তারপর থেকেই রাজ্যে বাজি নিয়ে ধরপাকড় শুরু হয়। তারপর বজবজ, মালদা একের পর এক ঘটনায় বাজি নিয়ে কড়া রাজ্য। প্রতি ঘটনাতেই হয়েছে প্রাণহানি। এরপরই বাজি নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করে নবান্ন। রাজ্যের নির্দেশ মতো কোমর বেঁধে অভিযানে নেমেছে হুগলি জেলার পুলিশও।
বুধবার পর্যন্ত হুগলিতে আটক করা হয়েছে ৯২৫ কেজি বেআইনি বাজি। গ্রেফতার হয়েছে চারজন। শুধুমাত্র চুঁচুড়া থানার পুলিশই এর মধ্যে ২৫ কেজি বেআইনি শব্দ বাজি আটক করেছে। দিন কয়েক আগেই হুগলি গ্রামীণ পুলিশ প্রায় ৮০০ কেজি বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত হবে। গ্রেফতার হয় ১১ জন।