শীতলকুচির পাটানটুলিতে বাড়ি চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলার পর পুলিশ দরজা ধাক্কা মারতেই নাল মিয়াঁ ও তার এক সঙ্গী বাড়ির পেছনে প্রাচীর টপকে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বেরতেই তারা বুঝতে পারে চতুর্দিক থেকে পুলিশ বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে বুঝতে পেরে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। গুলি লেগে জখম হন একজন পুলিশকর্মী। শীতলকুচি থানার পুলিশও পালটা তাদের লক্ষ্য করে ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। কিন্তু তাতেও অন্ধকার থাকার সৌজন্যে নাল মিয়াঁ পালিয়ে যায়। পুলিশ তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে। তাতেও এখনও কুখ্যাত দুষ্কৃতীর কোনও খোঁজ মেলেনি। গোটা জেলায় খোঁজ চালানো হচ্ছে তাঁর।
জানা গিয়েছে, রাত থেকেই নাল মিয়াঁর বাড়ি ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে অভিযুক্ত আজিজুল মিয়া ও তার সঙ্গে থাকা দুষ্কৃতীরা। সেই সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকায় রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের সময় ১০ এপ্রিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে জোড়পাটকি ১২৬ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। উন্মত্ত জওয়ানদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় জওয়ানদের। আমজনতার আক্রমণের সময় CISF কর্মীরা গুলি চালিয়ে ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় মৃত্যু হয় চার জনের ।