কলকাতায় নিজের ছবির প্রচারে আসেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও অভিনেত্রী অদাহ শর্মা। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও বাংলায় পর্যাপ্ত সিনেমা হল না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। অবশেষে বাংলায় এই ছবির প্রদর্শন শুরু হলেও তা ছবি নির্মাতা বা কলাকুশলীদের মোটেও আনন্দিত করবে না। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর রাজ্যের একটি মাত্র সিনেমা হলে চলছে এই ছবি। উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁর ‘শ্রীমা’ হলে চলছে এই ছবি।
বাংলায়র একটি মাত্র সিনেমা হলে এই ছবির প্রদর্শন শুরু হওয়ায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকের দাবি, কোনও অলিখিত চাপের কারণেই বাংলার সিনেমা হলগুলি এই ছবি প্রদর্শনের কোনও ঝুঁকি নেয়নি।
বনগাঁর যে সিনেমা হলে এই ছবিটি চলছে সেখানে দর্শকদের কেমন সাড়া, অনেকের মনে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও শ্রীমা হল কর্তৃপক্ষ তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে এই ছবি চললেও দর্শকদের মধ্যে তেমন কোনও সাড়া নেই। এই ঘটনায় খানিক অবাক হয়েছেন হল মালিকপক্ষ।
সুমন মজুমদার নামের এক দর্শক বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ছবির গল্প জানার পর দেখার জন্য আমরা আকৃষ্ট হয়েছি। সাম্প্রদায়িকতার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। আগ্রহ থাকার কারণে দেখতে এসেছি। আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেই। আগ্রহ রয়েছে বলেই এই ছবিটা দেখতে এসেছি। কেন্দ্র সরকার এই সিনেমা চলার অনুমতি দিয়েছিল, তাই এটা চলতে দেওয়া উচিত।’
সোমা সরকার নামের আরেক দর্শক বলেন, ‘এই সিনেমাটা সবার দেখা উচিত। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এই সিনেমা দেখা দরকার। রাজ্য সরকার নিষেধাজ্ঞা কেন জারি করেছে সেটা জানি না। এটা একান্তই সরকারের ব্যাপার, আমরা সাধারণ মানুষরা এতে গুরুত্ব দিই না। তবে হ্যাঁ এই সিনেমা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি মনে করি এই ছবি সবার দেখা প্রয়োজন, কারণ এতে বেশ কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।’